নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
অক্সিজেনের জোগান নিশ্চিত করতে ৩৫ কোটি বৃক্ষরোপণ
সবুজায়নের লক্ষ্যে এবার রাজ্যজুড়ে মোট ৩৫ কোটি বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করল উত্তরপ্রদেশ সরকার । জানানো হয়েছে , এই গাছগুলি বড় হয়ে গেলে তা রাজ্যের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন জোগানের বিষয়টি নিশ্চিত করবে । চলতি বছরের মধ্যেই এই গাছ রোপণের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে । আবার অভিনব পদ্ধতিতে বৃক্ষরোপণের বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে । চারদিন ধরে এই বৃক্ষ রোপণ করা বলে ঠিক হয়েছে । রাজ্যের ৭৫ টি জেলার প্রত্যেকটিতে একটি করে শক্তিবন তৈরি করা হবে ।
এই শক্তিবন আসলে নারী ক্ষমতায়নের দিকটি তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়েই তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয় । একটি সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী অরুণ কে সাক্সেনা বলেন , ‘ ৫ জুলাই আমরা বহু মানুষকে একত্রিত করে ২৫ কোটি বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছি । তারপর ৬ এবং ৭ জুলাই আরও ৫ কোটি ( একেক দিনে আড়াই কোটি করে ) গাছ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে । ‘ আর এভাবেই ধাপে ধাপে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার পথে এগোচ্ছে সরকার । বন , জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ‘ কেপি মালিক বলেন , ‘ রাজ্যের ৭৫ টি জেলার মোট ৯০ টি জায়গায় এই শক্তিবন তৈরি করা হবে ।
মহিলারাই এই বৃক্ষ রোপণ করবেন এবং এই গাছগুলি নারীদের শক্তিকেই নির্দেশ করবে । ‘ অরুণ কে সাক্সেনা বলেন , ‘ এই ৩৫ কোটি গাছ ১৪.৩৬ কোটি মানুষের জন্য অক্সিজেনের জোগান দেবে । একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ প্রতিদিন ৮২,৪২০ লিটার অক্সিজেনের জোগান দেয় । একজন মানুষের প্রতিদিন ৫৫০ লিটার অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে । ২০৩০ সালের মধ্যে এই গাছগুলি ১৮.৫৫ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করবে । ‘ আগামী ১৫ আগস্ট দেশ জুড়ে যে আজাদি কি অমৃত মহোৎসব পালন হতে চলেছে সেখানেও আরও ৫ কোটি বৃক্ষরোপণ করা হবে বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে আলাদা করে ৭৫ টি করে চারাগাছ রোপণ করা হবে বলেও ঠিক হয়েছে । রাজ্যের এক ডজন শহরে বনাঞ্চল তৈরির ওপর শেষভাবে রোপণ করা হবে বলেও ঠিক হয়েছে। রাজ্যের একডজন শহরে বনাঞ্চল তৈরির ওপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। বন দপ্তরের এইচওডি মমতা সঞ্জীব দুবে বলেন , ‘ যেসব এলাকায় বৃক্ষরোপণ হবে সেখানে জিও ট্যাগিং দেওয়া হবে । এই গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা কোনও সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং নজরদারি চালাবে বন দপ্তর ।