অজেয় সূর্যে ২ সেপ্টেম্বর পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১।

 অজেয় সূর্যে ২ সেপ্টেম্বর পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- চন্দর বিজয়ের পর এবার লক্ষ্য সূর্য ।আগামী দোসরা সেপ্টেম্বর সূর্যের উদ্দেশে অভিযান পাঠাতে চলেছে ইসরো। শ্রীহরিকোটা থেকে সূর্যের দিকে পাড়ি দেবে আদিত্য এল ওয়ান মহাকাশযান।এই অভিযানে সূর্যের কক্ষপথে স্থাপন করা হবে ভারতের প্রথম টেলিস্কোপ।আদিত্য এল ওয়ান নামক উপগ্রহটি সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যেকার আকর্ষণ ও বিকর্ষণের একটি অতিমাত্রিক অঞ্চলে প্রতিস্থাপন করা হবে।পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে ল্যাগ্রঞ্জ পয়েন্টের চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হবে উপগ্রহটি।পিএসএলভি সি৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে আদিত্য এল ওয়ান।প্রাথমিকভাবে মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করা হবে।কক্ষপথটিকে আরও উপবৃত্তকার করার পর মহাকাশ যানটি তখন অন বোর্ড প্রপাশন ব্যবহার করে এল ওয়ান পয়েন্টের দিকে চালু করা হবে।তারপরেই শুরু হবে মিশনটির ক্রুজ পর্ব। এই পর্বে এল ওয়ান কে হ্যালো কক্ষপথে প্রবেশ করানো হবে। আদিত্য এল ওয়ান উৎক্ষেপণের সময় থেকে শুরু করে এল ওয়ান পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগবে চার মাস। হ্যালো ওয়ান পয়েন্ট থেকে সৌর ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করার উদ্দেশেই এই মিশন পাঠানো হবে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে মিশনটির মূল লক্ষ্য হলো সূর্যের উপর বায়ুমণ্ডলীয় গতিবিধি অধ্যয়ন করা? ক্রোমোস্ফিয়ারিক ও করোনাল হিটিং,আংশিকভাবে অয়নিত প্লাজমার পদার্থবিদ্যা, করোনাল ভর নির্গমণের সূচনা এবং অগ্নিশিখা অধ্যয়ন করার কাজও করবে মহাকাশযানটি মিশনটি প্লাজমা পরিবেশও পর্যবেক্ষণ করবে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা আশাবাদী সূর্যের কক্ষপথে ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট থেকে সূর্যের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। ইসরো জানিয়েছে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য এটাই হবে ভারতের প্রথম মহাকাশ ভিত্তিক অবজারভেটরি। বিভিন্ন ওয়েভব্যান্ডে সূর্যের বাহ্যিক স্তরগুলো যেমন ফটোস্পেয়ার, ক্রমোস্ফেয়ার এবং করোনাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য মহাকাশযানটিতে মোট ৭ টি পেলোড থাকবে। সূর্য কীভাবে তাপ উৎপন্ন করে সেই তথ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি সূর্যের চৌম্বকীয় তরঙ্গ নিয়ে নিরীক্ষা চালাবে এল ওয়ান। এদিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি চার মিটার ব্যাসার্ধের বড়সড় গর্তের মুখোমুখি হয়ে রোভার প্রজ্ঞান। সঙ্গে সঙ্গে এটিকে পথ পরিবর্তনের আদেশ দেওয়া হয়। বর্তমানে একটি নিরাপদ পথ ধরে এগিয়ে চলেছে রোভারটি। বেঙ্গালুরু ভিত্তিক ইসরোর সদর দপ্তর সূত্রে সামাজিক মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.