বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
অদ্ভুত জীবের সন্ধান গভীর সমুদ্রে, শারীরিক গঠন ও স্বভাবও ভিন্ন

কত বিচিত্র প্রাণী যে আছে এই সসাগরা পৃথিবীতে, বিজ্ঞানীরা ক্রমশ যে সবের খোঁজ পেয়ে চলেছেন। সমুদ্রের তলদেশে যে এক আশ্চর্য জগৎ রয়েছে, টেলিভশনের দৌলতে অনেক দিন আগেই সাধারণ মানুষের ড্রয়িং রুমে সে খবর পৌঁছে গেছে। সেও এক আশ্চর্যপৃথিবী, যেন এ পৃথিবীর মাঝে আর একটি পৃথিবী। গভীর সমুদ্রের তলদেশে নানা রকম প্রাণীদের বসবাস। তারা দেখতেও অদ্ভুত, স্বভাবেও অদ্ভুত। সেই সব প্রাণীদের খোঁজে প্রতিনিয়ত চলছে বিজ্ঞানীদের নানা অভিযান। সমুদ্রের তলদেশে গবেষণার কাজে প্রতিনিয়ত চলছে বিজ্ঞানীদের নানা অভিযান। কিন্তু এমন অদ্ভুত সদৃশ জীব কখনও দেখেননি বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ‘মিউজিয়ামস ভিক্টোরিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর বিজ্ঞানীরা ভারত মহাসাগরের তলদেশে একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে, আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি একটি প্রাণীর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রাণীটি দেখতে কিছুটা বাদুড়, আবার কিছুটা জেলিফিশের মতো। অথচ তার দেহে রয়েছে টিকটিকির মতো লেজ এবং ধারাল দাঁত। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২ লক্ষ ৯০ হাজার ২১৩ বর্গমাইল জুড়ে অস্ট্রেলিয়ার কোকো দ্বীপের একেবারে
তলদেশে গবেষণার কাজ চলাকালীন তারা এই প্রাণীটির সন্ধান পান। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এমন কিম্ভূত দেখতে প্রাণীর সন্ধান আগে পাওয়া যায়নি। সামুদ্রিক প্রাণীটির দেহ জেলিফিশের মতো স্বচ্ছ এবং মসৃণ। তরোয়ালের মতো পাখনা তার শরীরে, সেই পাখনার সাহায্যেই তারা সমুদ্রের তলদেশ চষে বেড়ায়। তাদের শরীরে টিকটিকির মতো লম্বা লেজ। চ্যাপ্টা গড়নের দেখতে জীবটির দুটি চোখের চাউনি একেবারে মানুষের সর্বাপেক্ষা আশ্চর্যের বিষয় হল এই প্রাণীর শরীরে একই সঙ্গে আছে অণ্ডকোষ এবং ডিম্বাশয়। দুই-ই রয়েছে। যা দেখে রীতিমতো তাজ্জব বিজ্ঞানীরা। ডেইলি স্টার-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রাণীগুলি অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত কোকোস দ্বীপপুঞ্জ মেরিন পার্কে একটি অভিযানের সময় আবিষ্কৃত হয়েছিল, যা ৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৫৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে। ভারত মহাসাগরের নিচে প্রাণীটি আবিষ্কৃত অঞ্চলের থেকে নিকটবর্তী পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থের দূরত্ব ২ হাজার ৭৫০ কিলোমিটার। ভিক্টোরিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অভিযানের প্রধান বিজ্ঞানী টিমও ‘হারা লাইভ সায়েন্স জার্নালকে বলেছেন, ‘এই মাছ হল গভীর-সমুদ্রের এক অতুলনীয় বস্তু। তার হালকা স্বচ্ছ শরীর, অদ্ভুত গঠন, একই অঙ্গে অণ্ডকোষ ও ডিম্বাশয়ের উপস্থিতি দেখে আমরাও পুলকিত।’