অনলাইনে বুকিং অটোতে বাধা,বিমানবন্দরে প্রিপেইড যাত্রী পরিষেবা নিয়ে বহু অভিযোগ।

 অনলাইনে বুকিং অটোতে বাধা,বিমানবন্দরে প্রিপেইড যাত্রী পরিষেবা নিয়ে বহু অভিযোগ।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- আচমকা কোনও কারণ ছাড়াই আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে কোনপরিবহণে প্রিপেইড অটো / ট্যাক্স কাউন্টার শনিবার একদিনের জন্য বন্ধ থাকার পর রবিবার আবার খোলা হয়। বিমানে যে সব যাত্রী আসেন তাদের বিমান বন্দর থেকে বাড়ি ও গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার সুবিধার জন্য রাজ্য সরকারের পরিবহণ দপ্তরের পরিচালনায় সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় প্রিপেইড অটো পরিষেবা চালু হয় গত কয়েক মাস আগে। রাজ্য সরকারের নতুন পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী তৎপরতার সঙ্গে বিমান যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রিপেইড পরিষেবা চালু করেন।দেশের সব বিমানবন্দরেই প্রিপেইড যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে প্রিপেইড অটোর ভাড়া একটু বেশি বলে কোনও কোনও বিমান যাত্রীর ভাড়া নিয়ে প্রবল আপত্তি রয়েছে পরিবহণ দপ্তর ভাড়ার প্রিপেইডে অটোর ভাড়ায় রেইট পর্যালোচনা করে পুনর্নির্ধারণ করবে বলে পরিষেবার শুরুতে জানালেও এখনও পরিবহণ দপ্তর সেই কাজ করেনি। কিন্তু ভাড়ার রেইট নির্ধারণ নিয়ে বিমান যাত্রীর আপত্তি থাকলেও প্রিপেইডে যাত্রীরা অটোর পরিষেবা নিচ্ছে। প্রিপেইড চালু হওয়ায় বিমান যাত্রীদের ভালো সুবিধা হয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দর টার্মিনাল ভবনের যে গেট দিয়ে বিমান যাত্রীরা বাইরে বের হন সেই করিডরে প্রিপেইড অটো কাউন্টার রয়েছে। স্বল্প পরিসর জায়গা নিয়েও কাউন্টারটি যাতে যাত্রীদের চোখে বা দৃষ্টিতে পড়ে সেই ব্যবস্থা এখনও যথাযথভাবে না করায় অনেক যাত্রী টার্মিনাল ভবন থেকে বের হওয়ার পথে চোখের দৃষ্টিতে প্রিপেইড কাউন্টার পড়ছে না বলে অভিযোগ করেন। প্রিপেইড কাউন্টার যাতে সব যাত্রীর দৃষ্টিতে ভালোভাবে পড়ে সেই উদ্যোগ নেওয়ার দাবি উঠেছে বিমান যাত্রীদের তরফে।বড় অক্ষরের সাইনবোর্ড দিতে হবে কাউন্টারের উপরে ও কাউন্টারের সামনে। টার্মিনাল ভবনের ভেতরের দিকে এই কাউন্টারটি থাকলেও টার্মিনাল ভবনের বাইরের দিকেও প্রিপেইড একটি কাউন্টার দ্রুত চালু করার দাবি উঠেছে। টার্মিনাল ভবনের ভেতর ও বাইরে দুটি প্রিপেইডের কাউন্টার চালু করা হলে বিমান যাত্রীদের আরও সুবিধা বাড়বে।দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরেও টার্মিনাল ভবনের ভেতর ও বাইরে একাধিক প্রিপেইড কাউন্টার চালু রয়েছে। আগরতলা এমবিবি বিমানবন্দরে প্রিপেইড কাউন্টার চালু করার সময় যেটা বলা হয়েছিল যাত্রীরা প্রিপেইড কাউন্টারে অটো ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে ক্যাশমেমো হাতে নিয়ে টার্মিনাল ভবন থেকে বের হলে স্পেশাল পুলিশ সেই ক্যাশমেমো নিয়ে অটোর নম্বর পুলিশ বুথ রেজিস্টারে এন্ট্রি করে সংশ্লিষ্ট বিমানযাত্রীকে সেই অটো কোথায় আছে তা দেখিয়ে দেবে।কিন্তু রাজ্য পুলিশের যে সব অফিসার ও কর্মী প্রিপেইডে যাত্রীকে সেই সুবিধা দেওয়ার জন্য বিমানবন্দরে ডিউটির জন্য রাখা হয়েছে সেই পুলিশ এই কাজ করছেন না। তাতে প্রিপেইড যাত্রীদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।পুলিশের বদলে সেই কাজ করছেন অটো চালকরা।যাত্রীর কাছ থেকে প্রিপেইডের অটোর ক্যাশমেমো নিয়ে নিচ্ছেন অটো চালকরাই। শুধু তাই নয়, সেই পুলিশের সামনেই একাংশ অটো চালক ভাড়ার দর কষাকষি করে যাত্রীকে অটোতে নেওয়ার জন্য সেই ছোটাছুটি এখনও বন্ধ হয়নি। যাত্রীদের অভিযোগ একাংশ অটোচালক বাড়ি ও গন্তব্যস্থলে যেতে ভাড়া নিয়ে পুলিশের সামনেই বা কোনও সময় পুলিশও তখন থাকেননা তখনও দরকষা ও অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া চলতেই থাকে। অথচ কর্তব্যরত রাজ্য পুলিশ নির্বিকার ও উদাসীন বলে যাত্রীদের অভিযোগ। যাত্রীদের আরও গুরুতর অভিযোগ হলো অনলাইনে বুক করে ওলা, ওবের, জুগনো ইত্যাদি।অটো বিমানযাত্রীরা বিমানবন্দরের ভেতর যেমন প্রবেশ করতে পারেন না তেমনি বিমান বন্দর থেকেও এই অনলাইনে বুক করা অটো নিয়ে বাড়ি বা গন্তব্যস্থলে যেতে পারেন না। অটো চালকরা বাধা দেওয়ায় অনলাইনের অটো যাত্রী নিয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করা দূরের কথা বিমান বন্দরে প্রবেশে গেটের কাছাকাছিও যেতে পারে না।অনলাইনে বুক করা অটো দেখলেই বাধা দিতেও হেনস্তা করতে অটো চালকরা দ্রুত তেড়ে আসেন বলে যাত্রীরা প্রতিদিনই এই অভিযোগ করছেন। কোনও যাত্রী অনলাইনের অটো নিয়ে বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করলে বা বিমানবন্দর থেকে যাত্রী তুলে আনার জন্য অটো গেলে বিমানবন্দর সিণ্ডিকেটের অটো চালকরা সেই অটোর চালককে শুধু জঘন্যভাবে হয়রানি বা হেনস্তাই নয়, অটো ভেঙে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বিমান যাত্রীরা যদি তার প্রতিবাদ করেন তাহলে বিমান যাত্রীদের সঙ্গেও সেই সব অটো চালকের একাংশ অবভ্য আচরণ করে বলেও বিমান যাত্রীদের অভিযোগ । দেশের সব বিমানবন্দরে অনলাইনে বুক করা সেই সব গাড়ি বিমানবন্দরে যাত্রী নিয়ে বিনা বাধায় যায়ও বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে আসে। অথচ আগরতলা বিমানবন্দরে অনলাইনের অটো পরিষেবার উপর বিমানবন্দর সিণ্ডিকেটের অটো চালকরা অঘোষিত বিধি নিষেধ জারি করে রেখেছে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এই বিষয়ে রাজ্য সরকার, পরিবহণ দপ্তর, পুলিশ, বিমানবন্দর অথরিটি সব জানলেও রহস্যজনক ভাবে নীরবতা পালন করছে বলেও অভিযোগ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.