বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
অনুমানের অনেকটা পিছিয়ে জিডিপি, কমল দেশের আর্থিক বৃদ্ধি

মোদি সরকারের উদ্বেগ বৃদ্ধি করে জিডিপি বৃদ্ধিহার কমে গেল । বিগত আর্থিক বছরের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক । যা অপ্রত্যাশিত । সরকারের অর্থমন্ত্রক তো বটেই , এমনকি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আশা করেছিল , অন্তত ৬ শতাংশ স্পর্শ করবে আর্থিক বৃদ্ধি হার । কিন্তু ৪.১ শতাংশ হয়েছে ২০২১-২২ আর্থিক বছরের শেষ ত্রৈমাসিকের জিডিপি বৃদ্ধিহার । একই সঙ্গে গোটা বছরের অর্থাৎ বিগত আর্থিক বছরের মোট জিডিপি বৃদ্ধিহার হয়েছে ৮.৭ শতাংশ ।
যা আপাতভাবে খুবই আশাব্যঞ্জক । কিন্তু যেহেতু কোভিডকালে মাইনাস ২৪ শতাংশ পৌঁছে গিয়েছিল ডিজিপি বৃদ্ধির হার , তাই সেই নেগেটিভ বৃদ্ধিহার এবং এই ৮.৭ শতাংশ মিলিয়ে যে আর্থিক বৃদ্ধিহার হচ্ছে, সেটা যে খুব সন্তুষ্ট করেছে সরকার ও অর্থনৈতিক মহলকে এমন নয়। তবে অর্থমন্ত্রক সামগ্রিকভাবে দেশের এই জিডিপি বৃদ্ধিহারকে ইতিবাচকভাবে দেখতে চাইছে।

প্রাক কোভিড কালে যে জিডিপি বৃদ্ধিহার হয়েছিল, এই জিডিপি বৃদ্ধিহার সেই তুলনায় ১ শতাংশ বেশি হয়েছে। অর্থাৎ অর্থমন্ত্রকের আশা এভাবেই আর্থিক মন্দা কেটে যাচ্ছে এবং আবার ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। জিডিপি বৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশি সন্তুষ্ট না হওয়ার কারণ প্রত্যাশিত। ফেব্রুয়ারী মাসে আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, অন্তত সাড়ে নয় শতাংশ হবে জিডিপি বৃদ্ধিহার। একইভাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট নিয়ে আলোচনায় সরকারের জবাবি ভাষণে বলেছিলেন, নমিনাল জিডিপি বৃদ্ধিহার সাড়ে ১১ শতাংশ হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কওনটাই হয়নি।
নমিনাল জিডিপি সাড়ে ১১ শতাংশ হতে গেলে মুদ্রাস্ফীতির হার ৩ শতাংশ হতে হবে। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশ অনেক আগেই ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধিহার ছিল ৫.৪ শতাংশ।

আশা করা হয়েছিল ধীরে হলেও আবার ৬ শতাংশ স্পর্শ করবে আর্থিক বৃদ্ধিহার। কিন্তু শেষ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধিহার প্রায় হতাশাজনক। এর অন্যতম কারন হিসেবে মনে করা হচ্ছে মূল্যবৃদ্ধির হার। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের পর পেট্রোপণ্যের দাম সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আবার একই সঙ্গে কোর সেক্টর অথবা শিল্পোৎপাদন হার সবই কমেছে। মানুষের ক্রয় প্রবণতা কমেছে। আর সবকিছুর প্রভাব পড়েছে আর্থিক বৃদ্ধির উপর। রিজার্ভ ব্যঙ্ক জানিয়েছে, এই মূল্যবৃদ্ধির হার এখনই কমবে না। আর বাড়তে পারে। সুতরাং ৪ শতাংশের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার রাখার যে টার্গেট, সেটা পূর্ণ হচ্ছে না। এমতাবস্থায় যদিও সামগ্রিকভাবে ৮.৭ শতাংশকে সরকার ইতিবাচকভাবে দেখে জানাচ্ছে, ২০০০ সালের পর এই অঙ্ক স্পর্শ করেনি জিডিপি বৃদ্ধিহার। যা সত্যিই আশাব্যঞ্জক।
কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির আগুন আরও বেড়েছে। এই আবহে নয়া আর্থিক বছরে চলতি ত্রৈমাসিকের জিডিপি বৃদ্ধিহার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।