নেতা-মন্ত্রীদের বারবার ঘোষণা সত্ত্বেও গ্রুপ ডি নিয়োগ হচ্ছে না!!
অপমানে যুবকের আত্মহত্যা!!
রবিবার গ্রাম্য মাতব্বরদের সালিশি সভায় জবরদস্তি সিদ্ধান্তের জেরে সোমবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিল এক যুবক।ঘটনা বিশালগড় থানাধীন চাম্পামুড়া এলাকায়। মৃত যুনকের নাম লিটন দাস (৩০), বাড়ি বিশালগড় অফিসটিলা নমঃপাড়ায়। রবিবার বিকালে লিটন ঘুরতে যায় একই থানাধীন চাম্পামুড়া এলাকায়।তখন স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা লিটনকে আটকায় অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনে।তাদের অভিযোগ এলাকারই এক সন্তানের মা এক মহিলার সাথে লিটনের অবৈধ সম্পর্কে রয়েছে।কিন্তু লিটন কোন মতেই তাদের এই অভিযোগের সাথে সহমত পোষন করেনি। লিটন তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানিয়ে ক্লাবে আসতে বলে।খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সবাই চাম্পামুড়াস্থিত ক্লাবে ছুটে আসে।
অভিযোগ, তখন সকলের উপস্থিতিতে লিটনকে ওই এক সন্তানের জননীকে তার স্ত্রী হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার দাবি সহ ক্লাব কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।কিন্তু লিটনের পরিবারের তা মানতে চায়নি এবং বিষয়টি প্রয়েজনে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়।কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় মাতব্বরদের যোগসাজশে লিটনের ওপর অমানুষিক চাপ সৃষ্টি করা হয়। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি সাজানো বয়ানে জোর করে সকলের সাক্ষর করিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন লিটনের বোন সোমা দাস।ওই মহিলার সাথে শুধুমাএ একটি মালা বদল করে জোর করে লিটনের সাথে বিয়ে করিয়ে দেয়।যদিও এই ধরনের বিয়ের কোনও মান্যতা নেই। তাদের এই সিদ্ধান্তের ফলে অপমানে লিটন সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, লিটনের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? স্থানীয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ নাকি আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা?