অপরাধ মামলা,বাড়ছে সাজার হার: মুখ্যমন্ত্রী!!

 অপরাধ মামলা,বাড়ছে সাজার হার: মুখ্যমন্ত্রী!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২২ এবং ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিভিন্ন অপরাধের মামলায় সাজার হার সুস্পষ্টভাবে বেড়েছে।সোমবার বিধানসভায় প্রশ্ন উত্তর পর্বে এই মর্মে জানান মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।তিনি জানান,২০২২ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সাজার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সাজার হার ২১ শতাংশ বেড়েছে।অপরাধীর সাজা প্রদানের ক্ষেত্রেও ২০২২ ও ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে যথাক্রমে ২৪ ও ৩২ শতাংশ বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২২ সালে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা ৪,৫৩২। চার্জশিট হয়েছে ৩৫৪৮টির।এরমধ্যে ৬৫০টি মামলার বিচার হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর সংখ্যা ১২১৮। ২০২৩ সালে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা ৫,০০২।চার্জশিট হয়েছে ৩৯৭০টির। এরমধ্যে ৬৪০টি মামলার হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর সংখ্যা ১,০৮৪। ২০২৪ সালে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা ৪,০৩৩।চার্জশিট হয়েছে ২৯১০টির। এরমধ্যে ৮১১টি মামলার বিচার হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর সংখ্যা ১,৫৯৬।
কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়ের প্রশ্নের উত্তরে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের তথ্য অনুসারে রাজ্যে
ক্রিমিনাল মামলার সাজার শতকরা হার ২৯.৮০%।সাজার হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে থানাগুলিতে স্পেশাল প্রসিকিউশন সেল গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে কিনা?তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে আরক্ষা দপ্তরের প্রত্যেক থানাতে স্পেশাল প্রসিকিউশন সেল গঠন করার কোনও পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। রাজ্যে Criminal Case-এ শাস্তির হার বৃদ্ধি করতে PAIRVI অফিসার এবং পুলিশ কোর্টের সহায়তায় কোর্টে বিচারাধীন Case-গুলির উপর নিরন্তর নজরদারি রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে বিচার ব্যবস্থার অন্যতম স্তম্ভ “Prose-cution” কে আরও দৃঢ় করতে এবং দেশে নব প্রণিত তিনটি ফৌজদারি আইন যথা ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, ২০২৩ এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম, ২০২৩-এর বিভিন্ন ধারার সুষ্ঠু প্রয়োগের উদ্দেশ্যে সরকার রাজ্যের আটটি জেলায় “Deputy Director of Prosecution” অফিস গঠন করতে ডেপুটি ডিরেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সহ ৭০টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। সেশান ট্রায়াল মামলাগুলিতে এপিপি/পিপি এবং জেলা ও দায়রা বিচারপতিকে মামলা পরিচালনায় সহায়তা করতে প্রতিটি জেলা পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট জেলার প্রতিটি থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মীকে PAIRVI অফিসার হিসেবে নিয়োগ করে থাকেন। এদিন বিধায়ক গোপাল রায় বাইক বাহিনী দমানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহাকে বাহবা দেন। তবে বর্তমানে রাজ্যে ‘বাহুবলি’র সংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তা দমনেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সক্রিয়তা চান। এদিন বিধায়ক শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে চুরি, ডাকাতির সংখ্যা বাড়েনি। কারণ রাজ্যে নথিভুক্ত চুরির মামলা বিগত ২০২৩ সালের ২৭৯টির তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৪ সালে ২২৮টি হয়েছে। অপরদিকে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে নথিভুক্ত ডাকাতির মামলার সংখ্যা (০৪টি) বৃদ্ধি না পেয়ে অপরিবর্তিত ছিল।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.