দৈনিক সংবাদ অনলাইন || মণিপুর ইস্যুতে ফের সরব কংগ্রেস। কংগ্রেস ভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সোমবার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত অবিলম্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে বরখাস্ত করা। একই সাথে এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মৌনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি । কংগ্রেস সভাপতি শ্রীখাড়গে এদিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি সত্যি সত্যিই মণিপুরের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হন তাহলে অবিলম্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে বরখাস্ত করুন।
শ্রীখাড়গের অভিযোগ, মণিপুর নিয়ে কোনও যুক্তিই চলে না বিজেপির। বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্ব পুরোপুরি ব্যর্থ মণিপুরে হিংসা দমাতে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত খবর হ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সব জানান। খাড়গে এ দিন বলেন, গত ৪৫ দিন ধরে মণিপুর জ্বলছে। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে একটি শব্দও ব্যয় করেননি। প্রত্যেক ভারতীয় মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে কিছু শুনতে চান।
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, যদি মোদিজি সত্যি সত্যি মণিপুর নিয়ে উদ্বিগ্ন হন তাহলে অবিলম্বে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করুন। তিনি বলেন, মণিপুরে কী চলছে সরকারের মালখানা থেকে দুষ্কৃতী, গুণ্ডাবাহিনী, সমাজবিরোধীরা অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এটা কি প্রমাণ করে যে রাজ্যে কোনও সরকারের অস্তিত্ব আছে? অবিলম্বে সেনাবাহিনী দিয়ে রাস্তা অবরোধ, মানুষের নিরাপত্তা, তাদের সম্পত্তির নিরাপত্তা,নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে নিশ্চয়তা প্রদান, জাতীয় সড়কে নিরাপত্তা বৃদ্ধি-সবটাই করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এছাড়া পুনর্বাসন, ত্রাণ, বিপন্ন মানুষজনকে জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে রাজ্য সরকারকে।এদিকে এ দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর সফর শেষ করে দেশে ফিরে ক্যাবিনেট বৈঠক করেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত আশাহ প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুরের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে অবহিত করেন।
এদিকে মণিপুরে একের পর এক বিজেপি নেতাদের পদত্যাগ ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। মণিপুরবাসীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার কারণে বিজেপির অহিংস অভিযানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নামে একটি কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে খোদ বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরাই। এই কর্মসূচিতে বেশকিছু দাবিকে সামনে রেখে আগামীতে এগোতে চাইছে তাঁরা। সেই দাবিগুলি হল, অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি শাসন কার্যকর করা, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, একটি সমাধান নিয়ে আলোচনা করতে সর্বদলীয় বৈঠক করা, উত্তেজনা প্রশমিত করার জন্য রাজনৈতিক সমাধান যাই হোক না কেন, একটি পুনর্মিলন প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নেওয়া, শীঘ্রই রাজ্যে নির্বাচন সহ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শান্তি বজায় রাখার জন্য বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে সমর্থন করার দাবি জানাতে চাইছে তাঁরা। এদিকে এদিনই ফের ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল মণিপুর সরকার। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অশান্তির জন্যই মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মণিপুর রাজ্যে শান্তিভঙ্গে ও আইনশৃঙ্খলায় যাতে কোনও খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩০ জুন বেলা ৩টে পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ থাকছে মণিপুরজুড়ে। অন্যদিকে পুলিশের ডিজির চিঠির উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনও হিংসার ঘটনা সামনে আসছে। বাড়ি ভাঙচুর হচ্ছে। গুলী ছোড়া হচ্ছে। কিছু অসামাজিক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। তারা ঘৃণা ছড়াতে পারে। সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তৃতীয়বার ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হল ৷ এর আগে ৩ মে মণিপুর সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা সাসপেন্ড করেছিল। এরপর ১১ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হল। এরপর ২০ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…