অনলাইন প্রতিনিধি :-সংরক্ষিত
বনাঞ্চলে অবৈধভাবে রাবার বাগান এবং থাকার ঘর করা নিয়ে বন দপ্তর থেকে আইনি পদক্ষেপ নিতে গিয়ে রাঙামুড়া ফরেস্ট অফিস আক্রান্ত।ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।মহিলা সহ শতাধিক মানুষ দা, লাঠি, কাঁচের বোতল নিয়ে এসে রীতিমতো রাঙামুড়া ফরেস্ট অফিসে এসে আক্রমণ চালায়। অফিসের মধ্যে রেঞ্জার, ফরেস্টার সহ কর্মীরা রীতিমতো ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ে।অনেকেই অফিসের পেছনে বন দপ্তরের সরকারী আবাসে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সরকারী আবাসও আক্রমণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।টিনের দেওয়াল কেটে ফেলা হয়।পরিস্থিতি প্রচণ্ড উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। তৃষ্ণা অভয়ারণ্য থেকে খবর দেওয়া হয় রাজনগর থানা এবং রাঙামুড়া পুলিশ আউট পোস্টে।রাজনগর থানা এবং রাঙামুড়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, রাঙামুড়া ফরেস্ট সেক্টর এলাকায় প্রায় চার হেক্টর জায়গায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে অবৈধভাবে অনেকেই রাবার বাগান গড়ে তোলে।থাকার ঘরও বানানো হয়।যেহেতু সংরক্ষিত বনাঞ্চল তাই অবৈধভাবে দখলে রাখা সংরক্ষিত বনাঞ্চল খালি করতে এদিন অভিযান চালানো হয় বন দপ্তর থেকে।
অবৈধভাবে গড়ে ওঠা রাবার বাগানের রাবার গাছের চারা কেটে ফেলা হয়।যেসব ঘর উঠেছে তা ভাঙচুর করা হয়। এই খবর পেয়ে বিকেলের দিকে ওই এলাকা থেকে বেশিরভাগ মহিলা সহ প্রায় দেড়শ লোক দা, লাঠি, কাঁচের বোতল ইত্যাদি নিয়ে রাঙামুড়া ফরেস্ট অফিসে এসে হাজির হয়।শুরু হয় অফিসের উপর আক্রমণ। ফরেস্ট অফিসের চারদিক থেকে অফিসের উপর ইট, পাটকেল, কাঁচের বোতল ইত্যাদি যেন বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে।অফিসের কোনও কোনও অংশে বেড়া, টিনের চাল কেটে ফেলা হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় অফিসের কর্মী, ফরেস্টার তাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।অনেকে পাশেই বনদপ্তরের সরকারী আবাসে চলে যায়।সেখানেও টিনের বেড়া কেটে ফেলা হয় দা দিয়ে। যারা রাঙামুড়া ফরেস্ট অফিস আক্রমণ করতে আসে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা।তাদের দাবি কেন তাদের রাবার গাছ সহ বাগান ধ্বংস করা হয়েছে।ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে।তারা অত্যন্ত গরিব। কোনওরকমে রুজিরোজগার করে সংসার চালায়। তাতেও প্রচণ্ড কষ্ট।এ অবস্থায় বন দপ্তরের কর্মীরা এদিন অভিযান চালিয়ে ৪ হেক্টরের মতো জায়গায় ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়।এখন তারা কিভাবে বাঁচবে।আর এর প্রতিবাদে এদিন তারা জড়ো হয়ে ফরেস্ট অফিসে এসে আক্রমণ চালায়। এমনই অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর পুলিশ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখা হবে বলে জানানো হয়।কিছু সময় পর সংশ্লিষ্টরা ফরেস্ট অফিস ছেড়ে চলে যায়।এদিকে তৃষ্ণা প্রশাসনিক কার্যালয়ের অধীন এই রাঙামুড়া ফরেস্ট অফিস।সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়েই খোদ বন দপ্তর আক্রান্তের শিকার। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে।এলাকায় বন দপ্তরের কর্মীদের ঘটনার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-উত্তপ্ত মণিপুরের অশান্তির আঁচ এবার পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত।মন্ত্রী-বিধায়কদের বাড়িতে হামলার পর এবার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বেআইনিভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের ডিএসপি প্রসূনকান্তি…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ট্রেন, বিমানের পর এবার দেশের সবথেকে বড় ব্যাঙ্করিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াই উড়িয়ে দেওয়ার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের মন্ত্রী সুধাংশু দাস সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছেন। মন্ত্রীর এই সাম্প্রদায়িক উস্কানির দৌলতে, গণ্ডাছড়া,…
আমেরিকায় পালাবদলের পর বিশ্বের অশান্ত এলাকাগুলিতে,যুদ্ধবিধ্বস্ত সকল অঞ্চলে নতুন ভাবনাচিন্তা শুরু হইয়াছে। বিশেষত দুইটি যুদ্ধ…
অনলাইন প্রতিনিধি :- জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে, চিরস্থির কবে নয়ে নীর, হায়…