গত এত বছর নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ঘটেছে আমেরিকার রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের। গত ২০ জানুয়ারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথও নিয়েছেন তিনি। শপথ নেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, আমেরিকায় সোনালি যুগের শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকেই একের পর এক আদেশনামায় সই করে যাচ্ছেন তিনি। নির্বাচনি প্রচারণা অভিযান থেকেই ট্রাম্প বলে আসছিলেন,
আমেরিকা শুধুই আমেরিকানদের। আমেরিকাতে বিভিন্ন সময়ে যে বিশাল সংখ্যায় অবৈধ অভিবাসী রয়েছে, ক্ষমতায় এলে এই অনুপ্রবেশকারীদের নিজের দেশে পাঠাতে কড়া পদক্ষেপ নেবেন তিনি। সেই ঘোষণামতোই শপথ গ্রহণের পর শুরু হয়েছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আমেরিকা থেকে বহিষ্কার পর্ব। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প আমেরিকাজুড়ে যেভাবে অনুপ্রবেশকারী হঠাও অভিযান শুরু করেছেন, তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও ট্রাম্পের এই অভিযান থেকে বাদ যাচ্ছে না গুরুদোয়ারার মতো ধর্মীয় স্থানও। অবৈধ অভিবাসীদের আমেরিকাছাড়া করতে ইতিমধ্যেই নিউইয়র্ক, নিউ জার্সির মতো শহরের গুরুদোয়া গুলোতে পুলিশি ধরপাকড় অভিযান তীব্র হয়ে উঠেছে। আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকা ও কানাডাতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একটা বড় অংশ এই নিউইয়র্ক আর নিউ জার্সির শিখ উপাসনালয় এবং গুরুদোয়ারাগুলিকে আশ্রয় করেই ভারতবিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করতো। মার্কিন দেশে এই ভারতবিদ্বেষী কাজকর্মের প্রধান আখড়ার ছিল এই গুরুদোয়ারা। এবার অনুপ্রবেশবিরোধী অভিযানে আর পাঁচটি স্থানের মতো ট্রাম্প প্রশাসনের থাবা পড়েছে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই আখড়াতেও। এই ধরপাকড় শুরু হতেই বিতর্ক ও সমালোচনাও শুরু হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়েও দিয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন শিখ সংগঠন। তাদের অভিযোগ, শিখদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা এই অভিযানের কারণে নষ্ট হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, আমেরিকায় এই অভিযানে ইতিমধ্যেই গুরুদোয়ারা থেকে ৫৩৮ জন অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার হয়েছে। এদের বড় অংশকেই দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে এমন চারজন জঙ্গির হদিশও মিলেছে যারা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ট্রেন-ডি আরাগুয়ার সদস্য। যদিও আমেরিকা থেকেঅভিবাসীদের গণবিতাড়নের জন্য ট্রাম্পের উদ্যোগকে ঘিরে গোটা বিশ্বজুড়েই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নথিপত্রহীন এই অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু দেশের উপরেই বড়সড় আর্থিক অভিঘাত নেমে আসবে। যে কয়েকটি দেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা সব থেকে বেশি সেই তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে চিন, ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো, এল সালভাদোরের মতো দেশ। প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি মতো একই কাজ করেছিলেন এবং সংখ্যাটা ছিল প্রায় ১৫ লক্ষের মতো। বারাক ওবামা তাঁর প্রথম পাঁচ বছরে প্রায় ২৯ লাখ অভিবাসীকে দেশছাড়া করেছিলেন এবং ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে আরও ১৯ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হয়। জো বাইডেনের সময়কালেও ১৪ লাখ ৯০ হাজার অভিবাসীকে আমেরিকা ছাড়তে হয়েছিল। অর্থাৎ একটি বিষয় এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট যে, মার্কিন দেশে অভিবাসনে কঠোরতার প্রশ্নে ট্রাম্পের সময়কালে হই হই রই রই রব উঠলেও সব মার্কিন প্রেসিডেন্টরাই এই ইস্যুতে একই কঠোর নীতিতে আস্থাবান ছিলেন এবং অভিবাসী বিতাড়নের প্রশ্নে সকলের চেয়ে ওবামাই ছিলেন এগিয়ে। তবে আগামী চার বছর ট্রাম্পের নেতৃত্বে । আমেরিকার অভিবাসন নীতি কীভাবে তৈরি হবে এবং কোন্ পথে মার্কিন প্রশাসন এই নীতি কার্যকর করবে এর উপর নির্ভর করবে মার্কিনীদের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর কূটনৈতিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কী হতে চলেছে। তবে আমেরিকার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের পেছনে ট্রাম্প বিভিন্ন সময় এই অভিবাসন সমস্যাকে যেভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন, তাতে এই চলমান প্রক্রিয়া গোটা বিশ্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে অস্থির অনিশ্চয়তা ডেকে আনবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের লাইনচ্যুত ট্রেন। ছিটকে গেছে তিনটি কামড়া। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার তিতলাগড় স্টেশনের কাছে।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রথম সংক্রমণের ৫ বছরের রেষ কাটতে না কাটতেই নতুন করে চিনে খোঁজ মিলেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গত ৫ আগস্ট হাসিনা জামানার পতনের পর বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। তবে…
শুক্রবার মরিশাসের সংসদে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন আসন্ন ন্যাশনাল ডে বা জাতীয় দিবসের উদযাপনে প্রধান অতিথি…
কোনও চাওয়া যখন পথের থেকে বেশি সংখ্যায় পথবন্ধক তৈরি করে, তাকে পরিত্যাগ করাই বিধেয়। কারণ…
অনলাইন প্রতিনিধি:- নারী নির্যাতন কিংবা মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা রাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি…