অমরনাথে পুণ্যার্থীদের, স্বাগত জানান মুসলিমরা।
ধর্মীয় বিদ্বেষ ও ঘৃণা ভাষণ যদি হয় অধুনা ভারতের একটি রূপ, তবে সম্প্রীতির দৃষ্টান্তও কম নয়। এর অন্যতম দৃষ্টান্ত হতে পারে অমরনাথ ধাম যাত্রায় হিন্দু অভ্যর্থনা জানান স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ।প্রতিবছর মুসলিমরা অমরনাথ যাত্রার সময় হিন্দু ভক্তদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করে।এই অমরনাথ যাত্রা দেশ তথা জম্মু-কাশ্মীরের যৌথ সংস্কৃতির প্রতীক,এ কথা কাশ্মীরের জনসভায় বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং। সম্প্রতি জম্মুতে বিজেপি আয়োজিত একটি জনসভায় তিনি বলেন,এই বছর বিপুল সংখ্যক ভক্ত তীর্থযাত্রায় যোগ দেবেন। মন্ত্রীর কথায়, ‘অমরনাথ যাত্রা কোনও রাজনৈতিক বিষয় নয়।এটি দেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সম্মিলিত সংস্কৃতির প্রতীক।হিন্দু ভক্তরা বিপুল সংখ্যক যাত্রায় যোগ দেয় এবং কাশ্মীরের মুসলমানরা তাদের স্বাগত জানায়।’মন্ত্রী বলেছেন,এ নিয়ে রাজনীতি করে সমাজকে বিভক্ত না করে ঐতিহ্যকে আরও জোরদার করতে হবে।আগামী পয়লা জুলাই অমরনাথ যাত্রা শুরু হওয়ার কথা।কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি ওই মঞ্চে একই কথা বলেন জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র রায়না। অমরনাথ যাত্রার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জীতেন্দ্র সিং বলেন, “আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী যে এই যাত্রা সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রীদের আকর্ষণ করবে। হিন্দুদের অতি পবিত্রস্থল অমরনাথ হল দক্ষিণ কাশ্মীর হিমালয়ে ৩,৮৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পবিত্র গুহার যাত্রা।আগামী পয়লা জুলাই থেকে দুটি রুটি দিয়ে পুণ্যতীর্থে যাত্রা শুরু হওয়ার কথা।অমরনাথ গুহায় পৌঁছনোর একটি রাস্তা হল অনন্তনাগ জেলার ঐতিহ্যবাহী ৪৮ কিমি নুনওয়ান-পহলগাম রুট এবং অন্যটি গাল্ডেরবালের ১৪ কিমি রুট।এই রাস্তা দূরত্বের বিচারে ছোট হলেও খুব খাড়াই এবং দুর্গম। অমরনাথ যাত্রায় অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে পুণ্যার্থীদের যেতে হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সব খাবার সহজে হজম হয় না। তা ছাড়া, ইচ্ছে মতো খাবার খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে। ট্রেক করতে যাওয়ার প্রাথমিক শর্তই হল শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা।