অনলাইন প্রতিনিধি :- গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ক্ষমতা হলো ক্ষণিকের। ক্ষমতা আজ আছো তো কাল নেই। মানুষ যেদিন ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলে দেবে, যেদিন আর কেউ ফিরেও তাকাবে না। ধুলোয় মিশে যাবে ক্ষমতার দন্ত। মাটিতে মিশে যাবে যাবতীয় অহংকার, ঔদ্ধাত্ব। কেননা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণই শেষ কথা। জনগণই ঠিক করে কে কখন ক্ষমতায় বসবে। কাকে কখন ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলা হবে। ফলে ক্ষমতা পেয়ে যারা মনে করেন, আমিই অধীশ্বর, আমিই শেষ কথা, আমিই সর্বেসর্বা, এই ক্ষমতা আমার চিরস্থায়ী- নিে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করেন। এই রাজ্যে একটানা পঁচিশ বছর সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে থাকতে তারাও একসময় নিজেদের অধীশ্বর, সর্বেসর্বা ভাবতে শুরু করে। মনে করছিল জনগণ কাঠপুতুল। এই ভাবেই একটা সময় বামেদের ক্ষমতার অহংকার, ঔষ্যত্ব চরমসীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। তারাও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, ক্ষমতা থেকে তাদের কেউ সরাতে পারবে না। কিন্তু জনগণ যে শেষ বিচারক, এর প্রমাণ ২০১৮ কল বিধানসভা নির্বাচন। প্রবল প্রতাপশালী বামফ্রন্ট সরকারকে এই রাজ্যের মানুষ ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠিত করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন নতুন জোট সরকার। যা গোটা দেশে নজিরবিহীন। নজিরবিহীন এই কারনে যে, ভারতবর্ষে এর আগে বামশাসিত কোনও রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এক্ষেত্রে ত্রিপুরাই প্রথম। ২০১৮ বাম সরকারকে সরিয়ে রাজ্যের মানুষ রাম সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। এই রাম সরকারের বয়স এখন ছয় বছর পার করে সাত বছরে পড়েছে। এর মধ্যেই গোটা রাজ্যে মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভ চরমে পৌঁছে গেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। একসময় বাম সরকারের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে যারা মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল, তারা এখন যে দলে দলে আবার বাম শিবিরমুখী হচ্ছে সেই ছবি কি বর্তমান শাসক দেখতে পাচ্ছে না? নাকি দেখেও না দেখার ভান করে আছে? বৃহস্পতিবার রাজধানী শহরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও লালঝান্ডার যে দৃপ্ত মিছিল দেখা গেছে, তা অনেকদিন এই শহর দেখেনি। এটা কীসের ইঙ্গিত? রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, বেকারদের কর্মসংস্থান, দপ্তরে দপ্তরে লাগামহীন দুর্নীতি বন্যাত্রাণ সহ আরও একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে প্রধান বিরোধীদল সিপিএমের ডাকে রাজধানীতে এমন প্রতিবাদ মিছিল কীসের পদধ্বনি? সেই পদধ্বনির আওয়াজ বর্তমান শাসক শুনতে পাচ্ছে কি? রাজনীতির হাঁড়ির খবর যারা রাখেন, তাঁদের মতে বর্তমান শাসকের জন্য এটা অশনি সংকেত। তবে ক্ষমতার দম্ভে যারা অন্ধ হয়ে যায়, তাদের চোখে এইসব ধরা পড়ে না, পড়ার কথাও নয়। কেননা তারা অন্যের চোখে দেখে। অন্যের কানে শোনে। ক্ষমতায় যতদিন টিকে থাকতে পারবে, ততদিনই তাঁরা ব্যক্তিগত আখের গোছাবে। দল আর ক্ষমতায় না ফিরলেও, তাদের কিছু ক্ষতি বা মাথাব্যথা থাকে না। রাজ্যের বর্তমান রাজনীতি কি সেই দিকেই ধাবিত হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর বড় জটিল। তবে যা চলছে, যা ঘটছে, তা যে বর্তমান শাসকের জন্য মোটও সুখকর নয়, তা কিন্তু হলফ করে বলা যায়।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…