অষ্টলক্ষ্মীর উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে: সুশান্ত!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলার
সুকান্ত একাডেমি প্রেক্ষাগৃহে শনিবার ইণ্ডিয়ান বিল্ডিং কংগ্রেস (ত্রিপুরা সেন্টার) এবং রাজ্য সরকারের পূর্ত দপ্তর, গ্রামোন্নয়ন দপ্তর, নগরোন্নয়ন দপ্তর ও আগরতলা পুর নিগমের উদ্যোগে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের সূচনা করে এদিন খাদ্য জনসংভরণ, পরিবহণ ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, সেভেন সিস্টার্স নয়। অষ্টলক্ষ্মীর উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব। আর এই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। নয়াদিল্লীর ভারত মণ্ডপমে অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবেও গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে অধিক গুরুত্বের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে ডোনার মন্ত্রক এবং সংশ্লিষ্ট সকলেই। ‘ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের পরিকাঠামো: চ্যালেঞ্জ এবং আগামীর পথ’ শীর্ষক আঞ্চলিক সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইণ্ডিয়ান বিল্ডিং কংগ্রেস ত্রিপুরা শাখার সচিব শিবাশীষ ভট্টাচার্য, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ইণ্ডিয়ান বিল্ডিং কংগ্রেস নয়াদিল্লীর ওপি গোয়েল সহ আরও অনেকেই। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এদিন বলেন, স্বাধীন ভারতে এর আগেও অনেকবার সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু কোনও সরকারই উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নিয়ে উন্নয়নের কথা ভাবেনি। ভাবলেও প্রকৃত অর্থে পরিলক্ষিত হয়নি উন্নয়ন। এদিক থেকে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন তখন থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে সত্যিকারের অর্থেই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন,যতক্ষণ না পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে উন্নত করা সম্ভব হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত অর্থেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে ডোনার মন্ত্রকও গঠন করা হয়েছে বিজেপি শাসিত সরকারের আমলেই। বর্তমানে এই ডোনার মন্ত্রকের অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আগরতলা চিটাগাং বন্দর ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে যাবতীয় প্রস্তুতি যে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে তাও জানান মন্ত্রী। আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে। তিনি বলেন, পরিকাঠামোগত দিক থেকে গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে ১ লক্ষ ৩৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই অর্থের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি। আগে যেখানে একটি মাত্র জাতীয় সড়ক ছিলো এ রাজ্যে সেখানে বর্তমান সরকার আরও ছয়টি জাতীয় সড়কের অনুমোদন দিয়ে রেখেছে। অনুমোদনের পথে রয়েছে আরও তিনটি জাতীয় সড়ক। এছাড়াও তিনি এদিন মহারাজা বীরবিক্রম বিমানবন্দর নিয়ে বলেন, শীঘ্রই এই বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বিমানগুলিকেও ওঠানামা করতে দেখা যাবে। গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সর্ববৃহৎ এই বিমানবন্দরটি পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে তিনি জানান।