অসময়ে সংস্কারের কাজ, উমাকান্ত সুইমিং পুলে প্রশিক্ষণ লাটে উঠেছে!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-অসময়ে সংস্কারের কাজ শুরু করার জেরে রাজধানীর উমাকান্ত সুইমিং পুলে সাঁতারের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা একেবারে লাটে উঠেছে।নিয়মিত প্রশিক্ষণ সহ সাঁতারের কোন ধরনের কম্পিটিশন এই মুহূর্তে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না উমাকান্ত সুইমিং পুলে। সাধারণত এই সিজনে সাঁতারুদের প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন কম্পিটিশন করার আদর্শ সময়।তবে উমাকান্ত সুইমিং পুলের সংস্কার কাজ চলার কারণে বর্তমানে সমস্ত অ্যাক্টিভিটিস এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে।যা পরিস্থিতি তাতে কবে নাগাদ যে উমাকান্ত সুইমিং পুল সাঁতারুদের প্রশিক্ষণ ও কম্পিটিশনের জন্য তৈরি হবে তা এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বলা খুবই মুশকিল।তবে এই অদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের কয়েকশো পে সুইমার এবং এর বাইরে অনেক সুইমার যারা নিয়মিত এই উমাকান্ত সুইমিং পুলে ট্রেনিং নিয়ে থাকে তারা এখন ঘরে বসা।
কবে নাগাদ আবার উমাকান্ত সুইমিং পুলের জলে নামা যাবে তা বলতে পারছে না কেউই।এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদকেই মূলত দায়ী করছে সাঁতারুদের একটা বড় অংশ। তাদের বক্তব্য যে এই মরশুম সাঁতারের প্রশিক্ষণ ও কম্পিটিশনের জন্য আদর্শ সময়। তবে সব জেনে বুঝেও কেন রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদ এই সিজনে উমাকান্ত সুইমিং পুল সংস্কারের কাজে হাত দিতে গেলো।এই কাজটা আরও আগেই শুরু করা যেতো।তবে ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্যদ অসময়ে সংস্কার কাজে হাত দেওয়ায় এই অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাদের বক্তব্য যে ত্রিপুরা ক্রীড়া
পর্ষদের উচিত যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি উমাকান্ত সুইমিং পুলটিকে কম্পিটিশন ও ট্রেনিংয়ের জন্য তৈরি করা। এদিকে ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের যুগ্ম সচিব স্বপন সাহার বক্তব্য, উমাকান্ত সুইমিং পুলের সংস্কারের কাজ এখন অনেকটাই শেষ। সুইমিং পুলে জল ভর্তির কাজ চলছে এখন।তবে একটি পাম্পের মাধ্যমে জল ভরা হচ্ছে।যার কারণে সুইমিং পুল ভর্তি করতে গিয়ে সময় লাগছে।অতিরিক্ত জলের পাম্প মেশিন না থাকাতেই মূলত এই সমস্যা বলে জানান তিনি।
তবে ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের তরফে চেষ্টা চলছে কমপক্ষে আরও দুটি পাম্প মেশিন লাগিয়ে যাতে খুব তাড়াতাড়ি যেন সুইমিং পুলটি জল দিয়ে ভর্তি করা যায়।উল্লেখ্য, ক্রীড়া দপ্তরের প্রদেয় অর্থে রাজধানীর উমাকান্ত সুইমিং পুলের সংস্কার কাজ হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই তা সংস্কার করা হয়নি। যার কারণে এই সুইমিং পুলের জল দুষিত হয়ে গেছে।জানা গেছে,সুইমিং পুলটিকে সংস্কারের জন্য ক্রীড়া দপ্তর আপাতত আঠারো লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে।রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের মাধ্যমে এই কাজ হচ্ছে।