সমাজে প্রচলিত আছে, রক্ষক যখন নিজেই ভক্ষক হয়ে ওঠে,তখন নিরাপত্তা বলে আছে কিছুই থাকে নিতে ।এই ধরনের পরিস্থিতি যখন তৈরি হয়,তখন সমাজে কোনও কিছুই ঠিক থাকে না। সব কিছুই উলটপালট হয়ে যায়।সমাজে শান্তি বিনষ্ট হয়ে যায়।জনজীবনে নেমে আসে চরম অশান্তি।সমাজে বসবাসকারী জনগণ দুশ্চিন্তা এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। সমাজে চুরি,ডাকাতি, রাহাজানি দাঙ্গা,হাঙ্গামা, মারপিট, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ নানা ধরনের অপরাধ সীমা ছাড়িয়ে যায়।আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে।মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে।সমাজে অপরাধ ও অপরাধীদের রমরমা হয়ে ওঠে।আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া মানে সমাজ ও জনজীবনের সর্বনাশের শেষ প্রান্ত।
আমরা সকলেই জানি পুলিশ হচ্ছে সমাজের বন্ধু। ছোটবেলায় বাল্যশিক্ষা থেকে এই কথা জেনে এসেছি। পুলিশ হচ্ছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য।বর্তমান সময়ে এই কথাটি যে একেবারেই সত্য নয়, সাধারণ মানুষ তাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধি করতে পারছেন।পুলিশ সমাজের বন্ধু এই কথাটি ছোটবেলা থেকে যতই মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হোক না কেন, আদতে জনগণ কখনও পুলিশকে বন্ধু হিসেবে দেখেনি।বরং পুলিশকে মানুষ ভয় পেয়ে এসেছে।সেজন্যই হয়তো,’বাঘে ছুঁলে আঠার ঘা, পুলিশ ছুঁলে ছত্রিশ ঘা’এমন একটি ধারণা তৈরি হয়েছিল জনমনে।কিন্তু এখন এসব ধারণা, জনশ্রুতি নবই জনগণের মন থেকে উধাও হয়ে গেছে।পুলিশ সম্পর্কে আমজনতার ধারণাটাই এখন পাল্টে গেছে।পুলিশের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা-ভরসা দিন দিন কমে যাচ্ছে।এর জন্য অন্য কেউ দায়ী এয়। দায়ী পুলিশই। পুলিশ-অপরাধী-অপরাধী এখন একসারিতে চলে এসেছে।কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় এটাই এখন বাস্তব সত্য। অপরাধ করার আগে এর পরিণতি সম্পর্কে অপরাধীরা যেমন উদাসীন,তেমনি পুলিশের ভয় সম্পর্কে নারও বেশি উদাসীন।ফলে অপরাধ ও অপরাধীদের উপর কানওভাবেই নিয়ন্ত্রণ টানা যাচ্ছে না।শুরুতেই উল্লেখ করেছিলাম,রক্ষক যখন নিজেই ভক্ষক হয়ে ওঠে, তখন জননিরাপত্তা বলে আর কিছু থাকে না।গত সাত-আট মাসে রাজ্যে অপরাধের পরিসংখ্যানের উপর একটু চোখ রাখলেই, বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিটা এখন ঠিক কোন্ জায়গায়।তবে এক্ষেত্রে সব দায় পুলিশের?এমন দাবি করবো না।কেননা,এমন দাবি করলে ভুল হবে।পুলিশকে যখন শাসকের অঙ্গুলিহেলনে চলতে হয়,তখন একা পুলিশের উপর এই দায় চাপতে যাবে কেন? যেকোনও দেশ বা রাজ্যের উন্নতি ও প্রগতির প্রথম শর্তই হচ্ছে শান্তি।যে রাজ্যে ‘আইনশৃঙ্খলা’ যত বেশি ভালো, সে রাজ্যের উন্নতি প্রগতি তত বেশি।শুধু মুখে মুখে আইনশৃঙ্খলা ভালো বলে দাবি করলে হবে না, বাস্তবে এর উপলব্ধি ঘটাতে হবে।কাজটা কঠিন,কিন্তু আন্তরিকতা থাকলে সম্ভব বলেই মনে করি।
অনলাইন প্রতিনিধি :-মোদীর মুকুটে জুড়ল আরও এক সম্মানের পালক। এবার গুয়ানা ও বার্বাডোজও তাদের দেশের…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এই 'মোরগ'কে অতিকায় বললেও কম বলা হবে।১১৪ ফুট লম্বা। মুরগি বা মোরগ যেমন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আবারও মূল্যবৃদ্ধি হলো পাইপলাইন গ্যাসের। মঙ্গলবার,১৯ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে বর্ধিত মূল্য।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-টিএসআর এবং রাজ্য পুলিশে রেশনমানি বৃদ্ধি করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল আগেই।মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে…
সম্প্রতি তেলিয়ামুড়ার কৃষ্ণপুরে এক শিক্ষক স্কুল। চলাকালীন সময়ে স্কুলের মধ্যেই নির্মমভাবে প্রহৃত হয়েছেন।এই চিত্র সামাজিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-১৯৮১ সাল থেকে আগরতলায় শুরু হয়েছিল বইমেলা। এখন পর্যন্ত দুই বছর বাদ দিয়ে…