অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের প্রধান দুই সরকারী হাসপাতাল জিবি এবং আইজিএমে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিকাঠামোর অভাবে রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। এই দুই সরকারী হাসপাতালে দিনের পর দিন রোগীর চাপ বাড়লেও সব বিভাগে চিকিৎসা পরিকাঠামো সেই ভাবে সুব্যবস্থা ও সম্প্রসারণ হচ্ছে না বলে অভিযোেগ। আর সেই কারণে রাজ্যের প্রধান দুই হাসপাতালে রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন। অথচ স্বাস্থ্য দপ্তর ও হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট সবকিছু জেনেও নির্লিপ্ত বলে অভিযোগ। তার মধ্যে অন্যতম হলো ইনটেনসিভকেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) শয্যার সংকট। মুমূর্ষু ও গুরুতর অসুস্থ রোগীর উদ্বিগ্ন আত্মীয়রা সবসময়ই অভিযোগ করেন চিকিৎসক রোগীর শারীরিক অবস্থা দেখে দ্রুত আইসিইউতে নেওয়ার জন্য লিখে দিলেও আইসিইউ মিলছে না। রাজ্যের দুই বড় হাসপাতালেই রোগীর চাপ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিতে আইসিইউ’র শয্যার সংখ্যা খুব কম। আর তাতেই পড়ছেন মুমূর্ষু ও গুরুতর অসুস্থ রোগীরা গভীর সংকটে। বিশেষ করে জিবি এবং আইজিএম হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের আইসিইউ’র স্বল্পতা সবচেয়ে বেশি।
জিবিতে মেডিসিন বিভাগের আইসিইউ’র শয্যা রয়েছে মাত্র ২৩ টি। আর আইজিএমে আইসিইউর শয্যা রয়েছে মাত্র ১০ টি। রাজ্যের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হলো জিবি, তার পরই বড় আইজিএম হাসপাতাল। দু’টি হাসপতালই রেফারেল হাসপাতাল। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে মুমূর্ষু ও গুরুতর অসুস্থ রোগীদের রেফার করে পাঠানো হয় এই দুই হাসপাতালে। সবচেয়ে রেফারের রোগী বেশী আসে জিবি হাসপাতালে। রেফার রোগী ছাড়াও দুই হাসপাতালেই চিকিৎসা পরিষেবা নিতে প্রতিদিন বহু রোগী নানা জটিল রোগ নিয়ে ভর্তি হন। দুই হাসপাতালেই মেডিসিন বিভাগে রোগীর চাপ দিন দিন ব্যাপকভাবে বাড়ছে। কিন্তু সেই ভাবে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট যেমন বাড়ছে না তেমনি আইসিইউ’র শয্যাওবাড়ানো হচ্ছে না। আর তাতেই রোগীকে আইসিইউতে নেওয়ার জন্য লিখে দিলেও আইসিইউ’র শয্যার অভাবে সময়মত রোগীকে ওয়ার্ড থেকে আইসিইউতে শিফট করতে পারছেন না ওয়ার্ডের কর্মরত চিকিৎসকরা। এমন বহু রোগী থাকে যে এই মুহূর্তে তৎক্ষণাৎ আইসিইউতে শিফট করা – জরুরি হয়ে পড়ে। চিকিৎসক লিখে দিলেও দুই বড় সরকারী হাসপাতালে চটজলদি রোগীকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা যাচ্ছে না। আইসিইউ ইউনিট থেকে বলে দেওয়া হচ্ছে শয্যা খালি নেই। তাতে উদ্বিগ্ন রোগীর আত্মীয়স্বজন মুমূর্ষু ও গুরুতর অসুস্থ রোগীর শারীরিক অবস্থায় দেখে আইসিইউ পেতে এখানে সেখানে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। কাকে ধরলে, কোন প্রভাবশালীকে ধরলে আইসিইউ মিলবে তা নিয়ে চলে অনবরত ফোনে অনুরোধ আবেদন নিবেদন। মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ, রাজনৈতিক নেতাকেও উদ্বিগ্ন রোগীর আত্মীয় স্বজন ফোন করে রোগীর জন্য হাসপাতালে একটি আইসিইউর শয্যার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আবেদন নিবেদন করতে থাকেন।
গভীর রাত মাঝ রাতেও সেই ফোন যায় আইসিইউ চেয়ে। তবে ফোনে আইসিইউ’র জন্য আবেদন নিবেদন করার পর নেতা, মন্ত্রী, প্রভাবশালীরা ফোন করেন হাসপাতালে মেডিকেল সুপার, ডেপুটি মেডিকেল সুপার ও পরিচিত চিকিৎসকের আইসিইউ’র শয্যার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। তবে যখন রোগীর চাপ একটু কম থাকে তখন আইসিইউ’র শয্যা পেতে সমস্যা হচ্ছে না। কেন দুই হাসপাতালেই মেডিসিন বিভাগের রোগীর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আইসিইউ’র শয্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে না তা নিয়ে রোগী, রোগীর আত্মীয়স্বজন সকলেই গভীরভাবে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবার সম্প্রসারণ উন্নত করা হচ্ছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে বারবার জানানো হলেও বাস্তবে রাজ্যের দুই বড় হাসপাতালেই রোগীর প্রচণ্ড চাপ থাকা সত্ত্বেও আইসিইউ’র শয্যা বাড়ানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এদিকে জিবি’র মেডিক্যাল সুপার ডা. শংকর চক্রবর্তী জানান, করোনার পর ২০২৩ সালে হাসপাতালে মেডিসিন আইসিইউ’র শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। শয্যা ১১ থেকে ২৩ করা হয়েছে বলে মেডিক্যাল সুপার জানান। কিন্তু তাতেও আইসিইউ’র শয্যার সংকট দূর হয়নি বলেও সুপার জানান। আইজিএম হাসপাতাল সূত্রের খবর ১০ বছর আগে আইসিইউ ইউনিট চালুর সময় ১০ শয্যা ছিল।তারপর আর আইসিইউ’র শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়নি। তাই আইসিইউ’র শয্যার তীব্র সংকটে চলছে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ফের লাইনচ্যুত ট্রেন। ছিটকে গেছে তিনটি কামড়া। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার তিতলাগড় স্টেশনের কাছে।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রথম সংক্রমণের ৫ বছরের রেষ কাটতে না কাটতেই নতুন করে চিনে খোঁজ মিলেছে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গত ৫ আগস্ট হাসিনা জামানার পতনের পর বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয়। তবে…
শুক্রবার মরিশাসের সংসদে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন আসন্ন ন্যাশনাল ডে বা জাতীয় দিবসের উদযাপনে প্রধান অতিথি…
কোনও চাওয়া যখন পথের থেকে বেশি সংখ্যায় পথবন্ধক তৈরি করে, তাকে পরিত্যাগ করাই বিধেয়। কারণ…
অনলাইন প্রতিনিধি:- নারী নির্যাতন কিংবা মহিলা সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যা রাজ্যে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি…