আকাশজুড়ে তীক্ষ্ণ নজরদারি শ্রীনগরে আজ জি-২০ বৈঠক
সোমবার থেকে শ্রীনগরে শুরু হতে চলেছে জি-২০ গোষ্ঠীর বৈঠক। এখানকার শের-ই- কাশ্মীর কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন করা হচ্ছে জি-২০ ট্যুরিজম ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় শীর্ষ বৈঠক। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ৬০ জন প্রতিনিধি এবং ২০ জন সাংবাদিককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত শ্রীনগর। ধারা ৩৭০ বিলুপ্ত হওয়ার পর এবং ভূতপূর্ব রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করার পর এটিই হতে চলেছে কাশ্মীরে আয়োজিত প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক বৈঠক। চলতি বছরের শেষের দিকে গোয়াতে জি-২০ গোষ্ঠীর মন্ত্রী পর্যায়ের যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এর আগে মন্ত্রীদের মধ্যে যোগাযোগকে শক্তিশালী ও চূড়ান্ত করতেই শ্রীনগরের বৈঠকটি আয়োজন করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের ছত্রছায়ায় থাকা জম্মু কাশ্মীরকে কীভাবে আমূল বদলে ফেলা হয়েছে সেই চিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরার এক সুবর্ণ সুযোগ এই বৈঠক। সারা বিশ্ব থেকে আগত প্রতিনিধিরা নিজেরাই চাক্ষুষ করতে পারতেন এই অভাবনীয় পরিবর্তন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কিছু স্বঘোষিত মন্তব্যকারী যেভাবে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে থাকেন তার সাথেও তুলনা করে দেখা যাবে বাস্তব চিত্রটি। জি-২০ প্রতিনিধি শুধু জম্মু-কাশ্মীরের নয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের ভারতের সম্যক ধারণা ও বাস্তব প্রতিফলনের সাক্ষী হয়ে বিশ্বের দরবারে তা তুলে ধরবেন। মঙ্গলবার জি-২০ বৈঠকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এবং জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এদিকে এই বৈঠককে কেন্দ্র করে অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে পুরো উপত্যকা জুড়ে। এলিট এনএসজি বাহিনীর কাউন্টার ড্রোন টিমগুলো যেখানে আকাশসীমা পাহাড়া দিচ্ছে সেখানে নয়নাভিরাম ডাল হ্রদে টহল দিচ্ছে নৌবাহিনীর কমাণ্ডো টিমগুলো। জাবারওয়ান রেঞ্জ থেকে বৈঠকস্থল পর্যন্ত প্রতিটি ইঞ্চি জমি এবং আকাশজুড়ে তীক্ষ্ণ নজরদারি চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। পুরো নিরাপত্তার দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়েছে সেনার হাতে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ তার উপস্থিতি এই ক্ষেত্রে নগন্য রেখেছে। দেশের বাকি অংশে নির্বাচনের কাজে যুক্ত হতে আগে সিআরপিএফের ত্রিশটি কোম্পানি জম্মু-কাশ্মীর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাদের আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আকাশপথে, জলপথে কিংবা স্থলপথ কোনওভাবেই যাতে কোনও ধরনের অনুপ্রবেশ কিংবা আক্রমণের ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তারপরও কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে তা মোকাবিলার জন্য তৈরি রাখা হয়েছে এলিট ব্ল্যাক ক্যাট কমাণ্ডোদের। ডাল হ্রদে টহল দিচ্ছে মার্কোস অথবা নৌবাহিনীর কমাণ্ডোরা। এক কথায় মাছি গলারও সুযোগ নেই।