ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে ইন্ডিয়ান আইডল জয়ী পবনদীপ,অবস্থা আশঙ্কাজনক!!
আকাশে বাতাসে উড়ছে ভুয়ো খবর, বীরেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায় কং।

জাতিহিংসা এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুরের আকাশে বাতাসে উড়ছে শুধু ভুয়ো খবর।সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে ছড়িয়ে পড়ছে বহু উত্তেজক ভুয়ো ভিডিও। আর এতে হিংসায় ঘৃতাহুতি হচ্ছে।সরকারী সূত্রে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। গত চার মে দুই রমণীকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর যে চিত্র প্রকাশ্যে এসেছে তাও ছিল ভুয়ো খবরকে ভিডিও করেই। এমনই দাবি সরকারী সূত্রে। মণিপুরে এর জেরে এখনও অশান্তি থামার কোনও লক্ষণ নেই।উল্লেখ্য, গত তিন মে থেকে চলা রাজ্যে জাতিগত হিংসায় এ পর্যন্ত প্রায় ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন প্রায় লাখখানেক নিরীহ মানুষজন। তারা এখন রাজ্যের বিভিন্ন শিবিরে দিনযাপন করছেন।এদিকে কংগ্রেস রবিবার ফের অভিযোগ করেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংকে দিয়ে কিছু হবার নয়।ধীরেন সিংকে রেখে তার কাছ থেকে কিছু আশা করা মুর্খামি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কংগ্রেস ফের দাবি করেছে,অবিলম্বে বীরেন সিং’র প্রতি ব্যবস্থা নিন। উত্তরপূর্বের ডাবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে (মণিপুর) প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।কংগ্রেস এদিন মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছে,এক ১৮ বছরের তরুণীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে মণিপুরের ইম্ফল ইস্ট জেলায়।গত পনেরো মের ঘটনা এটি। তরুণীটি পুলিশে অভিযোগ দায়ের পর্যন্ত করেছেন একুশ জুলাই। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, প্রতিদিনই মণিপুরে অশান্তি বিরাজ করছে।মানুষ ভয়ের পরিবেশে বাস করছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। উন্মত্ত জনতা অস্ত্র হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সশস্ত্র জঙ্গিরা সক্রিয় রাজ্যে।এর জন্য সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন রাজ্যের মহিলারা। প্রশাসন এই হিংসার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং প্রশাসন নেপথ্যে হিংসায় মদত জোগাচ্ছে। কংগ্রেস নেতা শ্রীরমেশ আরও বলেন; রাজ্যের যে সামাজিক অবস্থান তা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তাকে অপরের বিরুদ্ধে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।কংগ্রেস নেতা শ্রীরমেশের মতে, এ রাজ্যে বিচার পাওয়া বা কোনও আন্দোলন করার কোনও অর্থই হয় না যতক্ষণ না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে এন বীরেন সিং রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যবস্থা নিতে পারতেন। সময় চলে গেছে। কিন্তু এখনও তিনি পারেন ব্যবস্থা নিতে। এরই মধ্যে রাজ্য জুড়ে বিশাল সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র লুট হয়েছে।এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র জঙ্গিদের কাছে গেছে, দুষ্কৃতীদের কাছে গেছে। এদিকে সম্প্রতি ইম্ফলের একটি সমাজসেবী সংগঠন কো-অর্ডিনেটিং কমিটি অন মণিপুর ইন্টিগ্রিটি (সিওসিওএমআই) যে সমস্ত জঙ্গি, দুষ্কৃতীদের কাছে অস্ত্রশস্ত্র গেছে তাদের সেই সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র ফেরত না দিতে আহ্বান জানিয়েছে। এতে আসাম রাইফেলস রবিবার এই সংগঠনের কনভেনার জিতেন্দ্র নিনগম্বার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করেছে।