আকাশ লাল করে আবার জেগে উঠছে কুম্বরে ভিয়েখার আগ্নেয়গিরি
অর্ধশতাব্দী পর ঘুম ভেঙেছে আগ্নেয়গিরির।
সতর্কবার্তা দেওয়ার পর দেখতে দেখতে
পেরিয়ে গিয়েছে চার সপ্তাহ। হঠাৎ জেগে
উঠেছে কুম্বরে ভিয়েখার। স্পেনের ক্যানারি দ্বীপের লাভা উদগীরণ থামার কোনও লক্ষণই নেই। ইতিমধ্যেই প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে এই অগ্ন্যুৎপাতের প্রকোপে।
স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন প্রশাসন। শেষবার ১৯৭১ সালে জেগে উঠেছিল আগ্নেয়গিরি। অবশেষে পাঁচ দশক পেরিয়ে ঘুম ভেঙে গিয়েছে কুম্বরে ভিয়েখারের। আর ঘুম ভেঙেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে স্পেনের ক্যানারি আইল্যান্ডের এই বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি। স্পেনের ক্যানারি দ্বীপ সে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। লা পালমা দ্বীপের
অদূরে ক্যানারিতে ঘুরতে যান অনেকে। কিন্তু সেখানেই এখন আতঙ্কের ছায়া। দ্বীপের প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেল ভিক্টর টরেস পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে আগ্নেয়গিরির অনুগ্রহেই রয়েছি। এটা কবে শেষ হবে তা ও নিজেই ঠিক করবে।’ এরই মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে আগুনের গ্রাসে। ঘরছাড়া প্রায় ৭ হাজার মানুষ। কিন্তু প্রকৃতির রোষ থামার কোনও লক্ষণই নেই। রবিবার আগ্নেয়গিরি থেকে ভেসে আসা ছাইয়ের প্রকোপে লা পালমা বিমানবন্দরের ৩৮টি উড়ান বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়নি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে লাভা উদগীরণ। ওইদিনই দীর্ঘ ঘুম ভেঙে সশব্দে মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসতে থেকে শুরু করেছে লাভাস্রোত। আচমকা এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কে, বিস্ময়ে অবাক হয়ে গিয়েছেন আশেপাশের বাসিন্দারা। ক্রমশ বাড়ছে আতঙ্ক। খালি
করে দেওয়া হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। বিপর্যয় এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা। পরিস্থিতি দেখতে সেখানে ছুটে যান স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ। তিনি জানান, ‘বিপর্যয়ের খবর পেয়েই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব পরিকল্পনা মাফিক চলছে। লা পালমার সব বাসিন্দার সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। চিন্তার কিছুনেই ।’ ক্যানারি দ্বীপের অগ্ন্যু ৎপাতের জেরে রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে যেতে পেদ্রোর খানিকক্ষণ দেরি হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেরিতে গেলেও
দেশের কর্তব্য পালনের জন্য তাকে ধন্য ধন্যই করেছেন সকলে।