আক্রান্ত ৪ সাংবাদিক, ধৃত ৩ কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস ডিজি’র!!

 আক্রান্ত ৪ সাংবাদিক, ধৃত ৩ কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস ডিজি’র!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-পেশাগত কাজ
সম্পাদনের উদ্দেশে গত রবিবার রাত রাজধানীর মঠ চৌমুহনী অভিমুখে যাবার পথে মোটরস্ট্যান্ড শনিতলার কাছে কতিপয় দুষ্কৃতীর হাতে প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য, মিহির লাল সরকার, প্রণব শীল ও বিজয় কুমার সিংহ নামে চার সম্পাদক ও সাংবাদিক আক্রান্ত হন।দুষ্কৃতীরা বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের সদস্য বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে উক্ত সাংবাদিকদের চূড়ান্ত লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত করার পাশাপাশি তাদের দুটো মোবাইল ও ক্যামেরা ভেঙে দেয় ও মূল্যবান কিছু জিনিসপত্র ছিনতাই করে।পরে খবর পেয়ে পূর্ব থানা কর্তৃপক্ষ পুলিশ বাহিনী সহ বেরিয়ে এলেই দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।ঘটনাস্থলে বেশকিছু মদের বোতল সহ দুষ্কৃতীদের গাড়ি ও গাড়ির চালককে পুলিশ আটক করে।গভীর রাতে ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ায় ও সাংবাদিকরা প্রত্যেকেই দুষ্কৃতীদের মারে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন হয়ে পড়ায় রাতের মধ্য এই হাড়হিম করা আক্রমণের খবরটি পত্রিকা, বৈদ্যুতিন মাধ্যম ও পোর্টাল দপ্তরগুলোতে পৌঁছুতে দেরি হলেও সকাল হতেই রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমগুলিতে এই খবর পৌঁছে যায়।রাজ্যের প্রত্যেকটি সাংবাদিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। বিকাল নাগাদ রাজ্য থেকে প্রচারিত ও প্রসারিত সব কয়টি প্রিন্ট, বৈদ্যুতিন ও পোর্টাল সংবাদ মাধ্যম যৌথভাবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ ধ্যানকরের সাথে দেখা করেন।প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অ্যাসেম্বলি অব জার্নালিস্ট-র সাধারণ সম্পাদক শানিত দেবরায়।পুলিশের মহানির্দেশকের সাথে বৈঠকে সাংবাদিকদের উপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি রাখা হয়।
রাজ্যের সর্বত্র ছদ্ম রাজনৈতিক পরিচয়ধারী কতিপয় দুষ্কৃতী, সাংবাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর নানাভাবে আক্রমণ সংঘটিত করে চলেছে।অথচ কোনওভাবেই পুলিশ এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হচ্ছে না। রাজ্যের সর্বত্র, বিশেষ করে আগরতলায় মাদকসেবী ও মাদক পাচারকারী কিছু দুষ্কৃতী, ছদ্ম রাজনৈতিক পরিচয়ে সাধারণ মানুষ ও পেশাদার সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিন বছর আগে ঠিক গতকালের দিনেই (০৮-০৯-২০২৪) দুটি সংবাদ প্রতিষ্ঠানে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছিল, কিন্তু এদের কাউকেই এখনও পর্যন্ত বিচারের আওতায় আনা হয়নি।সাংবাদিকরা এই ঘটনায় পুলিশ ও রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।যদিও পুলিশের মহানির্দেশক জানিয়েছেন, গত রাতের ঘটনায় এফআইআর বর্ণিত তিন দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়েছে এবং এদের যথাযথ শান্তি হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন জায়গায় মূর্তি আনয়ন এবং বিসর্জন কর্মসূচিকে সামনে রেখে রাজপথ জুড়ে ডি জে চালিয়ে যেভাবে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং জীবন যাপন অতিষ্ঠ করে তোলা হচ্ছে এর বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের তরফে দাবি জানানো হয়েছে।এছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি, নৈশকালীন পাহারা এবং স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন প্রণব সরকার, জয়ন্ত দেবনাথ, অনল রায় চৌধুরী, বিশ্বেন্দু ভট্টাচার্য, জয়ন্ত ভট্টাচার্য, রমাকান্ত দে, সেবক ভট্টাচার্য, সুজিত দে, অভিষেক দে, সৌরজিৎ পাল, উত্তম চক্রবর্তী, অভিজৎ ঘোষ, প্রতীক মহলানবিশ, মানব দেববর্মা ও রঞ্জিত দেববর্মা প্রমুখ। এদিকে, আগরতলা প্রেস ক্লাব পরিচালনা কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে রাজ্যে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ বেড়ে গেছে। ৮ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টা নাগাদ মঠ চৌমুহনী এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত কর্তব্যরত সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনাস্থলে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ এসে একজনকে গ্রেপ্তার করে। সঙ্গে হামলার সময় ব্যবহৃত গাড়িটিও আটক করে। এ মর্মে কর্তব্যরত সাংবাদিক, চিত্র সাংবাদিকরা পূর্ব আগরতলা থানায় এজাহার দাখিল করেছে। আমরা আশা করি পুলিশ এ ঘটনায় যুক্ত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শস্তির ব্যবস্থা করবেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.