আখাউড়ায় জাতিসংঘের অর্থনৈতিক কমিশনের প্রতিনিধি দল!
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের পূর্বোত্তরে চলমান বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। যাত্রী পারাপারও বাড়বে। সেই লক্ষেই চলছে সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের কাজ। বাংলাদেশ অংশে যে অবকাঠামো রয়েছে তা আগামীর বাণিজ্যের জন্য ঠিক কতটা উপযোগী। এখানে যাত্রী পরিষেবার কি ব্যবস্থা আছে, এই সব দেখে গেলেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিশন (এসকেপ) ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দল । মঙ্গলবার সকালে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া চেকপোস্টে আসেন। এরপর বন্দর ও কাস্টমস আধিকারিক এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বন্দরের অবকাঠামোগত কিছু দুর্বলতার কথাও উঠে এসেছে। তবে সার্বিকভাবে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক কমিশন এসকেপের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান মিকাকো তানাড়ার নেতৃত্বে পরিদর্শনে আসা প্রতিনিধি দলের চোখেও বন্দরের দুর্বল অবকাঠামোর চিত্র ধরা পড়ে। বন্দরের সম্মেলন কক্ষে ঘণ্টা ব্যাপী চলা বৈঠকে উঠে আসে বন্দরের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা। বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বৈঠকে অংশ নেন আমদানি – রফতানি কারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আধিকারিক আরিফুর রহমান।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে জাতিসংঘের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের প্রধান আজহার জে ডিউক্রেষ্ট, ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিসের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির, আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহাম্মদ খলিফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।