আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ শেষ পর্যায়ে।
অনলাইন প্রতিনিধি :- আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হবে বলে সবাই আশা করছে। রেলপথ বসানোর পর প্রথমবারের মতো চললো ট্র্যাক কার চালানো হলো গত বুধবার সন্ধ্যায়।আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের চালানো হলো ট্র্যাক কার।গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে সফলভাবে এই ট্র্যাক কার চালানো হয় বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায়। রেলপথ নির্মাণ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ২২ আগষ্ট বহুল কাঙ্ক্ষিত এই রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু করার কথা রয়েছে। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যাণ্ড ইঞ্জিনিয়ারীং লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশি সাংবাদিকদের জানান, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে সন্ধ্যায় ট্র্যাক কার চালানো হয়েছে। পুরো রেলপথ সম্পূর্ণ প্রস্তুত না হওয়ায় গঙ্গাসাগর ইয়ার্ডেই চালানো হয়।তবে রেললাইনের যেটুকু অংশের কাজ বাকি আছে, তা ২২ আগষ্টের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।বাংলাদেশ ও ভারতের ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭ রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া গঙ্গাসাগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেলপথ। প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশ বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। আগামী সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ রেলপথ চালু হলে ভারত থেকে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতের সাত রাজ্যে অনেক কম সময়ে এবং কম খরচে পণ্য সামগ্রী আমদানি- রপ্তানি করা সম্ভব হবে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভারতের সাব্রম এবং বাংলাদেশের রামগড়ের মধ্যে স্থাপিত মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।এ সেতু চালু হলে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ভারতের সাত রাজ্যের মালামাল সরাসরি ট্রাকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। একদিকে ট্রেনলাইন অন্য দিকে সড়ক যোগাযোগ সবার হাতের নাগালের মধ্যে চলে আসবে বলে সবার প্রত্যাশা এবং এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্য নতুন গতি সঞ্চার হবে। এতে লাভবান হবে দুই দেশই।