আগরভিত্তিক শিল্প স্থাপনে সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে : মানিক।
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে আগর শিল্পের বিকাশের সম্ভাবনা থাকলেও বিগত দিনে তা অবহেলিত ছিল। বর্তমান রাজ্য সরকার আগরচাষি সহ ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে আগর উড পলিসি প্রণয়ন করছে।এই পলিসি বাস্তবায়নের কাজও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।রাজ্যের আগরচাষিদের দক্ষ করে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সঙ্গে, টাইআপ করা হয়েছে। তাছাড়া রাজ্যে আগর উড বোর্ড স্থাপনের জন্যও রাজ্য সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।বৃহস্পতিবার আগরতলার একটি হোটেলে তিনদিনব্যাপী তৃতীয় আন্তর্জাতিক আগরভিত্তিক ক্রেতা বিক্রেতা সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এ কথা বলেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করে
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে আগরভিত্তিক শিল্প স্থাপনের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের প্রায় ৫০ হাজার চাষি আগর চাষের সাথে যুক্ত রয়েছেন। তাছাড়াও ব্যবসায়ী, অফিসিয়াল সহ বহু মানুষ সরাসরি আগরভিত্তিক শিল্পের সাথে যুক্ত রয়েছেন। তাই রাজ্য সরকার আগরক্ষেত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।সম্মেলনে মুখ্যসচিব জে কে সিন্হা বলেন, বর্তমানে রাজ্যে শিল্প বান্ধব পরিবেশ রয়েছে।এর ফলে রাজ্যে আগর সহ বিভিন্ন শিল্প স্থাপনে উদ্যোগীরা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। রাবার ও বাঁশের পাশাপাশি আগরক্ষেত্রটিও রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। প্রধান মুখ্য বন সংরক্ষক কে এস শেঠি বলেন, আগর একটি মূল্যবান সম্পদ। রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার আগর ক্ষেত্রের বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছে। এক্ষেত্রে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর এবং বন দপ্তর সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বন সংরক্ষক প্রবীণ আগরওয়াল, কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রকের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল ড. এস পি যাদব প্রমুখ। সম্মেলনের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আগরভিত্তিক পণ্য প্রদর্শনীর স্টলগুলি পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, তৃতীয় আন্তর্জাতিক আগরভিত্তিক ক্রেতা বিক্রেতা সম্মেলনে দেশ বিদেশের ১২০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে সাত জন রয়েছেন বিদেশি প্রতিনিধি। তাছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিখ্যাত সংস্থাগুলির প্রতিনিধি সহ উদ্যোগীগণ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।