আচমকাই বদলি,সংকটে রাজ্যের দুই স্পোর্টস স্কুল!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-জাতীয় স্তরের খেলাধুলার সবচেয়ে বেশি সফলতা এনে দেওয়া রাজ্যের দুটি স্পোর্টস স্কুলকে অকেজো করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠলো এবার রাজ্য যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের বিরুদ্ধে। খেলাধুলায় সাফল্যের প্রশ্নে রাজ্যের দুটি স্পোর্টস স্কুলের প্রশাসনিক ও পরিকাঠামোগত ভিত আরও বেশি শক্তিশালী ও মজবুত করে তোলার পরিবর্তে উল্টো তাকে দুর্বল করছে ক্রীড়া দপ্তর। এমনটাই অভিযোগ উঠছে ক্রীড়া মহলের তরফে।এমনিতেই রাজ্যের দুটি স্পোর্টস স্কুলে চাহিদার তুলনায় বিভিন্ন ইভেন্টের কোচের একটা বড় ঘাটতি রয়েছে।তবে এই দুরবস্থার মধ্যেই উল্টো রাজ্যের দুটি স্পোর্টস স্কুল থেকে কয়েকদিন পর পর কোচ তুলে নেওয়া হচ্ছে। ক্রীড়া দপ্তরের তরফে আজ এক বদলির আদেশ জারি হয়েছে। যেখানে পিআই ও জুনিয়র পিআই মিলে মোট পাঁচ জনের নামে বদলির আদেশ জারি হয়েছে। এতে দেখা গেছে বদলি হওয়া পাঁচ জনের মধ্যে দুজন বাধারঘাট ও একজন পানিসাগর স্পোর্টস স্কুলের রয়েছেন। ক্রীড়া দপ্তরের তরফে এই বদলির আদেশ জারি হতেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। সরকারী চাকরিতে বদলি একটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে রাজ্যের দুটি স্পোর্টস স্কুল থেকে এভাবে কোচ তুলে নেবার ঘটনায় হতবাক অনেকেই। বাধারঘাটের ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল থেকে অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষক আশীষ পালকে আগরতলা কলেজটিলা প্লে সেন্টার গ্রাউন্ডে এবং জুডো প্রশিক্ষক মানিক লাল দেবকে পশ্চিম জেলার সুভাষনগর স্কুলে বদলি করা হল।অন্যদিকে, পানিসাগরের ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুল থেকে অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষক বিকল্প রুদ্রপালকে ধর্মনগরের বিবিআই ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে। যেখানে ফুটবল প্রশিক্ষক আবু তাহেরকে পানিসাগর বিলথৈ স্কুল থকে পানিসাগর স্পোর্টস স্কুলে এবং জুনিয়র পিআই রাজীব দেবনাথকে পানিসাগরের জলবাসা স্কুলের কোচিং সেন্টারের পাশাপাশি বিলথৈ ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে একটা বড় অংশের আপত্তি শুধু রাজ্যের দুটি স্পোর্টস স্কুলের বদলির বিষয়টি নিয়ে। বিশেষ করে বাধারঘাটের ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলে নতুন করে কাউকে পোস্টিং না দিয়ে উল্টো এভাবে বদলি করার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। এমনিতেই বাধারঘাটের ত্রিপুরা স্পোর্টস স্কুলে অ্যাথলেটিক্স ও জুডোর প্রশিক্ষক চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম। এর মধ্যে এই দুই ইভেন্টে দুজন কোচ তুলে নেবার ফলে এই জায়গায় আরও বড় ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। বাধারঘাটের স্পোর্টস স্কুলে বর্তমানে যে কয়েকটি ইভেন্ট চালু রয়েছে এরমধ্যে অ্যাথলেটিক্স ও জুডো অন্যতম। বিশেষ করে এই দুটি ইভেন্টে জাতীয় স্তরে সফলতা বেশি।কিন্তু এতসবের পরেও অ্যাথলেটিক্স ও জুডো ইভেন্টে আপাতত নতুন করে কোনও প্রশিক্ষক না দিয়ে উল্টো দুজনকে নেওয়ায় বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে স্পোর্টস স্কুলের জন্য।জানা গেছে পিআই ও জুনিয়র পিআইপদে সামনে আরও বদলি করতে যাচ্ছে ক্রীড়া দপ্তর।