আচমকা সংসদ অধিবেশনের ডাক, মোদির সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে জল্পনা।
অনলাইন প্রতিনিধি :- হঠাৎ সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করলেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হতে চলেছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। অত্যন্ত জরুরি কোনও সিদ্ধান্ত এবং আপৎকালীন পরিস্থিতির জেরে ছাড়া দুটি অধিবেশনের মধ্যবর্তী সময়ে এভাবে বিশেষ অধিবেশন ডাকার বিশেষ নজির অথবা প্রচলন, কোনওটাই নেই। সবেমাত্র ১১ আগষ্ট সমাপ্ত হয়েছে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন। পরবর্তী অধিবেশন হওয়ার কথা নভেম্বর অথবা ডিসেম্বর মাসে। যা হবে শীতকালীন অধিবেশন। তাহলে হঠাৎ কেন এই বিশেষ অধিবেশন?এই প্রশ্ন সকলেরই।কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার আচমকাই ডাকা হয়েছে কেন্দ্রেীয় মন্ত্রিসভার সংসদীয় বিষয়ক কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয় যে সংসদের বিশেষ অধিবেশন হবে। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ঘোষণা করেন অমৃতকালে বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়ে সুফলদায়ক আলোচনা হবে। স্থির হয়েছে এই অধিবেশন হবে পুরনো সংসদ ভবনে শেষবাবের মতো সভার কাজ। আগামীদিনে নতুন ভবনে বসবে অধিবেশন।এই অধিবেশনে চন্দ্রযানের চন্দ্রস্পর্শ নিয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি কিছু বিল পাস করানোর চেষ্টা হবে বলেও জল্পনা চলছে। এই জল্পনার তালিকায় রয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল থেকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল । এমনকী ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন নামক কোনও বিল কি আসতে চলেছে? সরকার কি লোকসভা ভোট এগিয়ে আনবে? ইত্যাদি হাজারো চর্চা করছে রাজনৈতিক মহল এবং দেশবাসী। কিন্তু মোদি সরকারের মুখে কুলুপ। তবে প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ কী এমন হলো যে নভেম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি নয় মোদি সরকার। অর্থাৎ এই অধিবেশনে এমন কী হতে চলেছে যা নিয়ে আলোচনা মাত্র দু’আড়াই মাসও অপেক্ষা করতে পারছে না। ঠিক যেদিন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক শুরু হলো মুম্বাইয়ে, সেদিনই এভাবে একটি রাজনৈতিক চমক তথা বিস্ফোরক জল্পনা ও গুঞ্জনের জন্ম দিয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের আলো যে অনেকটাই নরেন্দ্র মোদি কেড়ে নিতে সক্ষম হলেন, সে কথা বলাই বাহুল্য। এই জল্পনার কারণ হলো মনে করা হচ্ছে, চন্দ্রযানের সাফল্য অথবা কেন এই সময়কে সরকার অমৃতকাল বলছে, সেই তালিকা প্রকাশ করে পাঁচদিন ধরে কিছু একটা প্রচার এবং প্রস্তাব গ্রহণের পথে অগ্রসর হবেন মোদি। আবার তিনি কি এমন কোনও চমকপ্রদ ঘোষণা করতে পারেন যা বিরোধীদের পালের হাওয়া কেড়ে নিতে চলেছে? এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে বিরোধীরা হতচকিত। বিরোধীদের বক্তব্য বিরোধীদের সঙ্গে কোনওরকম আগাম আলোচনা না করে এভাবে স্বেচ্ছাচারের নজির দেখানো গণতন্ত্রের অবমাননা!