দ্বিতীয়দিন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো হাজারো দর্শক-শ্রোতা!!
আজ ইডির মুখোমুখি রাহুল

কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির সমন পাঠানোকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করল কংগ্রেস। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, এরপরও শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস মাথা নোয়াবে না। বিজেপির প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে কংগ্রেস দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করবে। অন্যদিকে সিনিয়র কংগ্রেস নেতা পি. চিদাম্বরম রবিবার বলেছেন, রাহুল-সোনিয়াকে ইডি যে নোটিশ পাঠিয়েছে তা পুরোপুরিই ভিত্তিহীন। তার মতে এই মামলাটি মানি লন্ডারিং নয়। সুতরাং তাদের ইডি যে সমন পাঠিয়েছে সেই সমনের কোনও ভিত্তি নেই।

মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র অতুল লনধে এক সাংবাদিক বৈঠকে রবিবার বলেছেন, বিজেপির এই চাপের রাজনীতির কাছে কংগ্রেস মাথা নোয়াবে না। গোটা দেশে ইডি দপ্তরের সামনে কংগ্রেস এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাবে বলে জানান তিনি। মুম্বাই এবং নাগপুরে বিক্ষোভ দেখাবে কংগ্রেস। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার বিরোধীদের জব্দ করত্ব ব্যাপক হারে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এ নিয়েই ইডির মাধ্যমেই সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায়। তার দাবি, এক পয়সাও এই কেসে হেরাফেরি করা হয়নি। এতে কোনও বেনিফিটের জায়গা নেই। অর্থ নয়ছয়ের কোনও স্থান নেই। ২০১৫ সালেই এই কেসটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুনরায় সেটি নিয়ে নড়াচড়া করা শুরু করে বিজেপি। কিন্তু কংগ্রেস দল বিজেপির এই চোখ রাঙানিকে ভয় পায় না। এজন্য দেশব্যাপী ইডি অফিসের সামনে আগামীকাল বিক্ষোভ দেখাবে কংগ্রেস।

কংগ্রেস প্রবক্তা অতুল লনধে আরও জানান, ১৯৩৭ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার জন্ম। এই সময়ে পত্রিকাটি শুরু করেছিলেন পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লভভাই প্যটেল, পুরুষোত্তম ট্যান্ডন, আচার্য নরেন্দ্র দেব, রফি আহমেদ কিদোয়াই প্রমুখ। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই পত্রিকাটির ব্যপক ভুমিকা ছিল। ১৯৪২-১৯৪৫ সালে এই পত্রিকাটিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল তদানীন্তন ব্রিটিশ প্রশাসন। তিনি জানান, এই পত্রিকাটির কর্মচারী এবং সাংবাদিকদের বেতন ইত্যাদির জন্য কংগ্রেস দলের তরফে ২০০২- ২০১১ সালের মধ্যে ৯০ কোটি টাকা ঋন দেওয়া ন্যশান্যাল হেরাল্ড কে। ১০০ টি কিস্তিতে এই টাকা ধার দেওয়া হয়েছিলো। সুতরাং কোনও আইনেই এটি অবৈধ নয়। স্বচ্ছতার সাথে এই ঋন দেওয়া হয়। এতে অর্থ নয়ছয় বা তুছরুপের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে কংগ্রেস নেতা ও প্রখ্যাত আইনজীবী পি চিদাম্বরম বলেন, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে সমন পাঠানোর বিষয়টির কোনও ভিত্তি নেই। পিটিআইর সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে পিএমএসএ মামলায় সমন পাঠানো পুরোপুরিই ভিত্তিহীন।
মানি লন্ডারিংয়ে ‘মানি’ এবং ‘লন্ডারিং অব মানি’ প্রয়োজন। ন্যাশনাল হেরাল্ড ঋন সংক্রান্ত ইক্যুয়িটি হস্তান্তর মামলায় ব্যাঙ্কের সাথে শুধু ঋনের বিষয়টি সম্পর্কিত হয়েছে। এখানে টাকা লেনদেন হয়নি। সুতরাং এটি মানি লন্ডারিং কেসই নয়। তিনি জানান, আগামিকাল তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাথে ইডি দপ্তরে যাবেন