আজ বড়দিন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এদিন খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যীশুখ্রীস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দিনটি সারা পৃথিবীর খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাসীদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং তাৎপর্যপূর্ণ। এদিনে তারা আনন্দে মেতে উঠবেন। সারা বিশ্বের সাথে ভারতেও দিনটি যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। তা থেকে বাদ নেই আমাদের ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরাও। এদিনটি পালনের জন্য বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি চলেছে। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর নানা রঙের আলোয় সাজিয়ে যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে দিনটি।
গির্জা, বাড়ির দরজা, বেলকনি সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি আর বর্ণময় বাতি দিয়ে।খ্রিস্ট ধর্মানুসারীদের মতে, পুনর্জন্ম, নতুন শুরু, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সম্পর্কের নবজীবন দানের উৎসবই হলো বড়দিন। রঙিন বাতিতে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ এবং স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এই উৎসবের মূল অনুষঙ্গ। আজ থেকে দুই হাজার বছর আগে এই দিনেই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন ক্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যীশুখ্রিস্ট। খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন, বেথেলহেমের এক গোয়াল ঘরে মাতা মেরির কোলে জন্ম নেওয়া যীশু ছিলেন ঈশ্বরের পুত্র।
সৃষ্টি কর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই পৃথিবীতে আগমন ঘটে যীশুর। তথ্য থেকে জানা যায়, ৪৪০ সালে পোপ এই দিবসটিকে স্বীকৃতি দিলেও উৎসবটি জনপ্রিয়তা পায় মধ্যযুগে।ওই সময় এর নাম দেওয়া হয় ‘ক্রিসমাস ডে’। এইদিনে সকল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা গোটা পৃথিবীর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করে যীশুকে স্মরণ করবে। তবে উৎসবের এই আনন্দে ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা। গেলো দুই বছর বড়দিনের আয়োজন ও উদ্যাপনে ভাটা ছিলো করোনার কারণে। ঘরবন্দি জীবন কাটিয়েছে মানুষ। উৎসব তো দূরের কথা।
দু’বছর করোনার তাণ্ডবে নাজেহাল মানুষ যখন একটু স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই আবার করোনা চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ভারত সরকার ফের একবার করোনা নিয়ে সতর্কতার সাথে বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশিকা জারি করেছে। রাজ্যগুলোকেও সতর্কতা পালনের জন্য পৃথকভাবে বার্তা পাঠানো হয়েছে। তবে এই নির্দেশিকায় বড়দিনের আনন্দে খুব একটা ভাটা পড়বে বলে মনে হয় না।
‘বড়দিন’ ভালোবাসার দিন। অন্যকে নিজের সর্বোচ্চ ভালোটুকু দেবার দিন। যীশুই বলেছেন, ‘পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়’। যেসব মানুষ পাপের কারাগারে বন্দি, তারা যেন মুক্তি পায়। যীশু জগতের মুক্তিদাতা। তাই এই শুভদিনে একটাই প্রার্থনা, আমাদের সকলের হৃদয়কে করে তুলুক অনেক বড়। ঘুচে যাক সকল অন্ধকার । অন্তর হোক আলোকিত। সবার মাঝে উদয় হোক অকৃত্রিম ভালোবাসা। উপচে পড়ুক শান্তি ও সমৃদ্ধি।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…