মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা, বন্ধ ইন্টারনেট,, কার্ফু জারি!!
আজ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হচ্ছে আখাউড়া আগরতলা রেল রুটের।।
অনলাইন প্রতিনিধি :-অপেক্ষা আর জল্পনা ছাপিয়ে সবুজ পতাকা উড়ানোর বাকি আর কিছু সময়।এর মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রুটে ট্রেন চলাচলে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে। নিজ নিজ দেশ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দুই প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করবেন।ভারতের পূর্বোত্তরের সাথে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগের এমন মহেন্দ্রক্ষণে নারিকেল ফাটছে না।
সীমান্তের গঙ্গাসাগর স্টেশনে নেই সাজসজ্জা। রেলওয়ের পক্ষে বলা হয়েছে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। তবে এখনই ট্রেন চলাচল করছে না। যেদিন চলাচল শুরু হবে সেদিন সীমান্তের স্টেশনগুলোতে উৎসব হবে। এই উদ্বোধনের মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় এই রেলরুটে ট্রেন চলাচলে বাধা থাকলো না।জানা গেছে, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পটির কাজ শুরুর পর থেকেই চলেছে মন্থর গতিতে।অতি বৃষ্টি, বন্যা আর করোনা অতিমারির কারণেও থেমে গেছে কাজ। এই সব কারণে দফায় দফায় বাড়াতে হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। আঠারো মাস মেয়াদি প্রকল্পটির মেয়াদ বেড়েছে চার দফায়। প্রতি মেয়াদে সময় বেড়েছে আঠারো মাস।এই সব কারণে এই প্রকল্প শেষ হওয়া নিয়ে জল্পনা ছিল। আবার কাজ শেষে উদ্বোধনের সম্ভাব্য দিনও পিছিয়েছে। সবকিছু ছাপিয়ে
আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করেছে। তো আজ বুধবার সকল প্রতিক্ষার অবসান ঘটছে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সবুজ
সংকেতে।ভারতের নয়াদিল্লীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যাণ্ড ইঞ্জিনীয়ারিং লিমিটেড এ প্রকল্পের কাজ করেছে। আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত হয়েছে নতুন ডুয়েলগেজ রেললাইন।এই এলাকাটি সাড়ে দশ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের।এখানে সাড়ে ছয় কিলোমিটার অংশ বাংলাদেশে।বাকি সাড়ে চার কিলোমিটার আগরতলা অংশে।শুরুতে প্রকল্পটি পনেরো কিলোমিটারের ছিল। পরবর্তীতে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা কমানো হয়েছে।প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও রেল যোগাযোগ বাড়াতেও ভূমিকা বা রাখবে এই প্রকল্প।এই ডুয়েলগেজ রেলরুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে কলকাতা থেকে ট্রেন আখাউড়া হয়ে আগরতলা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন।এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে রেল যোগাযোগও স্থাপন হবে। এমনটিই মনে করছেন সংশিলষ্টরা।২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। একই বছর কাজ শুরু হয়ে আঠারো মাসের মধ্যেই শেষ করার কথা।প্রায় ৬০ মাস পর প্রকল্পের নির্মাণ শেষে এখন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।