আতঙ্কে বনকর্মীরা, সুযোগে সাফ হয়ে যাচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল!!

 আতঙ্কে বনকর্মীরা, সুযোগে সাফ হয়ে যাচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- জীবন হানির আশঙ্কায় নিরাপদ আশ্রয়ে বনকর্মীরা। ফলে এক প্রকার উন্মুক্ত কাঞ্চনপুর পেচারথল কাঞ্চনছড়া মৃত্তিঙ্গাছড়ার বনাঞ্চল। সুযোগে সোমবার রাতেই পাচার হয়ে গেল কয়েক লক্ষ টাকার মূল্যবান বনজ সম্পদ। বাধা দেওয়ার কেউ নেই। ভয়ে তটস্থ বন দপ্তরের প্রোটেকশন ইউনিট। নেই কোনও নিরাপত্তা। আতঙ্কে বন দপ্তরের প্রোটেকশন কর্মীরা। কাঞ্চনপুর মহকুমা ফরেস্ট প্রোটেকশন ইউনিটে রিজার্ভ বনাঞ্চল দখলদারিদের হামলার পর এখনও থমথমে পরিস্থিতি। তবে আহত বন কর্মীরা এখনও ওষুধ এবং চিকিৎসার খরচ পেলো না। এমনকি ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও রাজ্য বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বা পিসিএফের কোনও বক্তব্য নেই। বন সম্পদ রক্ষা করতে মার খেলো বন কর্মীরা। ফরেস্ট প্রোটেকশন ইউনিটে সশস্ত্র হামলা হলো কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। নেই কোনও গ্রেপ্তার। কাঞ্চনছড়া মৃত্তিঙ্গা শিবনগর পূর্ব শান্তিপুর এলাকার বনাঞ্চলে সহস্রাধিক ঘর বাড়ি নির্মাণ ইয়েছে কিন্তু বন দপ্তর থেকে শুরু করে বনমন্ত্রী নীরব অথচ পেকুছড়ার একশ কুড়ি পরিবারকে উচ্ছেদ করার জন্য বন দপ্তরের ভীষণ ব্যস্ততা।
এদিকে কাঞ্চনপুর মহকুমা এলাকায় বনদস্যুদের ভয়ে বনকর্মীদের জবুথবু অবস্থা, এই সুযোগে কাঞ্চনপুরের বিভিন্ন বনাঞ্চলে সোমবার রাতেই কয়েক লক্ষাধিক টাকার মূল্যবান বনজ সম্পদ পাচার হয়ে গেল। বন বিভাগের রিজার্ভ জঙ্গল দখলকারী বসবাসকারীরা এই পাচার কাণ্ডে জড়িত। খোদ বন দপ্তরের ফরেস্ট প্রোটেকশন ইউনিটে সশস্ত্র হামলা মারধরের ঘটনায় কাঞ্চনপুর মহকুমায় বনাঞ্চল রক্ষার প্রয়াসে বন বিভাগের কর্মকর্তারা এক ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধ বনাঞ্চল দখলদারদের একের পর এক আক্রমণে শুধু বন বিভাগের কাজই ব্যাহত হচ্ছে না, বরং বন কর্মীদের জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়ছে। বনাঞ্চলে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপগুলো একের পর এক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং অপরাধীদের আক্রমণাত্মক মনোভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা দেখা গেল কাঞ্চনপুর ফরেস্ট প্রোটেকশন ইউনিটে অবৈধ দখলদারদের হামলার ভয়াবহতা। পেচারথল বন দপ্তরের অফিসও ভাংচুর করা হয়েছিল। কাঞ্চনপুর মহকুমার রিজার্ভ বনাঞ্চল
রক্ষায় নিয়োজিত বন বিভাগের কর্মীরা বর্তমানে এক জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের সাথে বাদ পড়ছে না বন দপ্তরে দৈনিক কাজ করা শ্রমিকরা পর্যন্ত। অবৈধভাবে দখল হওয়ার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে হেনস্থার শিকার হতে হয় ফরেস্ট গার্ডদের পর্যন্ত। এছাড়াও বনাঞ্চল দখলকারী দুষ্কৃতকারীরা মুঠোফোনে বা চিরকুটের মাধ্যমে বন কর্মীদের হুমকি প্রদান করছে নিয়মিত। হুমকির মোকাবিলার পরিণতি কাঞ্চনপুর মহকুমার ফরেস্ট প্রোটেকশন ইউনিটে হামলা ও ভাঙচুর করা। অবৈধভাবে বনাঞ্চল দখলকারীরা হুমকি দিয়ে রেখেছে বনাঞ্চল এলাকায় প্রবেশ করলে প্রাণহানি ঘটিয়ে ফেলবে। বন কর্মীদের পাশাপাশি তাদের পরিবার রয়েছে আতঙ্কে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না বন কর্মীদের পরিবার পরিজনরা। ফরেস্টার সুব্রত জমাতিয়াকে অপহরণ করে যেভাবে মারধর করেছে তা কেউ মেনে নিতে পারছে না। অথচ রাজ্য বনমন্ত্রী এবং পিসিসিএফ নীরব। অভিযোগ সুব্রত জমাতিয়ার চিকিৎসার বিষয়েও কোনও ধরনের খবর নেননি রাজ্য বনমন্ত্রী এবং পিসিসিএফ।
কাঞ্চনপুর বন দপ্তর থেকে ভয়াবহ ঘটনার প্রেক্ষিতে জানা গেছে বেশ কিছু দিন আগেও লালজুরিতে বনদস্যুদের দ্বারা নির্মম আক্রমণের শিকার হন কাঞ্চনপুর ফরেস্ট প্রোটেকশন ইউনিটের কর্মীরা। এই হামলায় দুজন বিট কর্মকর্তা আহত হয়েছিল। এছাড়াও গেল বছর পুলিশের চেকপোস্টের মধ্যে চারদিক থেকে এসে ঘেরাও করে বনরক্ষীদের নির্বিচারে মারধর এবং গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে পেচারথলে। এত বড় একটি স্পর্শকাতর ঘটনার পরও তখনও এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী শান্তনা চাকমা আহত বনকর্মীদের দেখতে যাননি। তখন প্রকাশে মাছমারা-পেচারথল পুলিশ চেকপোস্টের মধ্যেই ঘেরাও করে বন কর্মীদের উপন হামলায় পেচারথলের রেঞ্জার সহ পাঁচ জন বনকর্মী আহত হয়েছিল। ভাংচু করা হয়েছিল বনদপ্তরের পাঁচটি গাড়ি। নজিরবিহীন ঘটনা একের পর এক কর্মীদের উপর হামলার পরও কোনও ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না রাজ্য বন দপ্তর

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.