আথ্রাইটিস ও হোমিও চিকিৎসা।
বর্তমান সময়ে আমরা ‘আথ্রাইটিস’ নামক রোগটির সঙ্গে সকলেই ভাল মতো পরিচিত। বিশেষ কোনও কারণবশত মানবদেহের অস্থিসন্ধির মধ্যে প্রদাহের দরুন কার্টিলেজ ও জয়েন্ট ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, এর ফলে দুটি হাড়ের মধ্যবর্তী গ্যাপ কমে আসে এবং মানুষ ধীরে ধীরে কাজ করার ক্ষমতা হারাতে থাকে। যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় আর্থ্রাইটিস বলে।
আথ্রাইটিসের প্রকারভেদ:-সাধারণভাবে আথ্রাইটিস চার ধরনের হয়ে থাকে—(১) অস্টিও আর্থ্রাইটিস
(২) রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস
(৩) ইনফেকটিভ আর্থ্রাইটিস
(৪) গাউট
কারণ:-মূলত বয়সজনিত কারণ থেকে অস্টিও আর্থ্রাইটিস হয়ে থাকে। রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিসের নির্দিষ্ট কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না কারণ এটি একটি অটোইমিউন ডিজিজ।ব্যাকটেরিয়া কিংবা
টিউবারকিউলোসিস থেকে অনেক সময় ইনফেকটিভ আর্থ্রাইটিস হয়ে থাকে।অধিক মাত্রায় ইউরিক অ্যাসিডের ফলে গাউট হতে পারে।তাছাড়াও আরও কিছু কারণ কাজ করে থাকে।যেমন—বংশগত কারণ ওজন অত্যধিক বেড়ে যাওয়া।
অতিরিক্ত সিঁড়ি ভাঙা।নিয়মিত এক্সারসাইজ না করা।সর্বদা বাবু হয়ে অথবা উবু হয়ে বসা প্রভৃতি।
লক্ষণ:-জয়েন্টে ব্যথা হওয়া। জয়েন্ট ফোলাভাব ও গরম হয়ে থাকা।অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াতে না পারা। অঙ্গ বিকৃত হওয়া। দৈনন্দিন কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলা।চিকিৎসা:-হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা। লক্ষণ অনুযায়ী রাসটক্স, লিডামপল, ব্রায়োনিয়া, ম্যাগফস প্রভৃতি ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।বিধিনিষেধ:-শরীরের ওজন বেশি থাকলে কমাতে হবে।
শক্ত বিছানায় শুতে হবে।
পুঁইশাক, পাঁঠার মাংস, টমেটো,
ফাস্টফুড, ধূমপান, মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে।পেশাগত কারণে রোগ হলে,পেশার পরিবর্তন করতে হবে।এক্সারসাইজ করতে হবে।তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।