আধার-প্যান লিঙ্ক করতে গিয়ে দিশেহারা বৃদ্ধ অসুস্থরা!
প্যান কার্ডের সাথে আধার কার্ডের লিঙ্ক করাতে গিয়ে দিশাহারা দরিদ্র, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি সহ একটি বিশাল অংশের জনগণ ৷ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দুটি কার্ড লিঙ্ক করাতে হবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা করা যাবে। ওই তারিখের পর প্যান কার্ড আর কাজ করবে না। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রান্তিক অংশের মানুষ বিশেষ করে বৃদ্ধরা বিপাকে পড়েছেন। অনেকের প্যানের স্ট্যাটাস সঠিক দেখালেও আধার লিঙ্ক করার সময় লিঙ্ক হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা জমা দেওয়ার পরও প্যান কিংবা আধারে জন্মের তারিখ কিংবা অন্যান্য ছোটখাট ত্রুটির জন্য লিঙ্ক হচ্ছে না। অনেকে টাকা জমা দিয়ে টাকা ফেরত পাওয়ারও উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না।বেশ কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির কাছে এ ধরনের সমস্যার কথা মিলেছে। বয়সের শেষ প্রান্তে তারা নির্দিষ্ট নথি জমা দিয়ে প্যান কিংবা আধার সংশোধন করাতেও পারছেন না।এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা রাজ্যের কিংবা দেশের বাইরে কাজ করে তাদের স্ত্রীকে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা পাঠান। সেই গৃহিণীদের অনেকেরই এসবের সম্বন্ধে ধারণা নেই। অনেকের বক্তব্য, লিঙ্ক করার লক্ষ্যে শিবির করা হলে তারা সুবিধা পেতে পারতেন। বহিঃরাজ্যে পাঠরত ছাত্ররাও এনিয়ে বিপাকে পড়েছে। তাদের অভিভাবকগণ গুগুল পে, ফোন পে, পেটিএমের মাধ্যমে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। যতদূর জানা গেছে, এদের মধ্যে সিংহভাগ ছাত্রই আধার প্যান লিঙ্ক করাতে পারেনি। তারা বিপাকে পড়ার আশঙ্কায় আশংকিত।বহু দিন মজুর শ্রমিক অংশের মানুষ ১০০০ টাকা প্রদান নিয়ে বিপাকে পড়েছে। তাদের বক্তব্য, নুন আনতে পান্তা ফুরায়। লিঙ্কের অর্থ কীভাবে জোগাড় করবেন। অনেকের কাছে জানা গেছে, সাইবার ক্যাফে কিংবা কমন সার্ভিস সেন্টারগুলোতে লিঙ্ক করাতে গেলে ফি হিসাবে পাঁচশ টাকাও চাওয়া হচ্ছে। গ্রামের অনেক এলাকায় নেটের সুবিধা নেই। তারা পড়েছেন আরও বিপাকে। অনেকে বলছেন, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লিঙ্কের উদ্যোগ নিলেই মানুষকে এতো দুর্ভোগে পড়তে হতো না। ব্যাঙ্ক সামান্য কিছু ফি নিয়ে লিঙ্কের কাজটা সহজে করে দিতে পারতো। গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকেই চার্জ কেটে নেওয়া যেতো। সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট টেক্সেস বেশ কয়েকবার আধার কার্ডের সাথে প্যান কার্ডের লিঙ্ক করার সময়সীমা বাড়িয়েছে। এখনও বাড়ানোর দাবি উঠেছে। বিষয়টি সংসদে তোলা হয়েছে। লিঙ্কের জন্য ১০০০ টাকা ফাইনের অর্থও প্রত্যাহার করে নিতে আর্জি জানানো হয়েছে।