আধুনিক ভাস্কর্যের পথিকৃৎ হলেন শিল্পী বিপুল কান্তি সাহা:মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-তিনদিনব্যাপী বিপুল চারু ও কারুকলা উৎসবের সূচনা হয় শনিবার।লিচুবাগানস্থিত সরকারী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উৎসবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।উৎসবে ললিত কলা একাডেমি, ফাইন আর্টস, সরকারী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় সহ মোট দশটি বিভিন্ন সংস্থা অংশ নেয়।প্রতিদিন দুপুর তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত উৎসব চলবে।উৎসব উপলক্ষে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রাজ্যের শিল্প জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হবে।
তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত উৎসবের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,আধুনিক ভাস্কর্যের পথিকৃৎ হলেন বিপুল কান্তি সাহা। রাজ্যেরই কৃতী সন্তান তিনি। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ত্রিপুরার পুণ্যভূমিকে আপন করে বড় হয়েছেন এমন অনেক কৃতি শিল্পী, ভাস্কর ও সাহিত্যিকই রয়েছেন। এদিক থেকে শচীন দেববর্মণ কিংবা অদ্বৈত মল্লবর্মনের মতো আরেকটি উজ্জ্বল নাম হলো ত্রিপুরা থেকে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ভাস্কর বিপুল কান্তি সাহা।তার পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের ফলে এ রাজ্যের ভাস্কর্য শিল্প গোটা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার মতো ব্যক্তিরাই অনুপ্রেরণা জোগাবে।
তিনি বলেন,বিপুল কান্তি সাহার মতো ব্যক্তিত্বরা এসব শিল্প সংস্কৃতিকে রাজ্যের সাধারণ জনগণের নিকট সহজভাবে তুলে ধরেছেন।এক্ষেত্রে তিনি বাধারঘাটে নবনির্মিত বিভিন্ন ক্রীড়া পরিকাঠামোকে রাজ্যের স্বনামধন্য তিনজন ক্রীড়াবিদের নামে উৎসর্গ করার কথাও উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেদের মেধা সম্পর্কে সচেতন হলেই রাজ্যের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উৎকর্ষতা আরও বাড়বে। সংস্কৃতির সান্নিধ্যে থাকলে যুবসমাজকে নেশার করাল গ্রাস থেকেও মুক্ত রাখা সম্ভব। তিনি বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠানগুলিতে হাজারো শিল্পী যুক্ত হচ্ছেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেন,২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজ্যব্যাপী জনজাতিদের বাদ্যযন্ত্র কর্মশালার জন্য তিন কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বিশেষ সচিব দেবপ্রিয় বর্ধন, অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, সরকারী চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভট্টাচার্য এবং বিশিষ্ট ভাস্কর তথা বিপুল কান্তি সাহার সহধর্মিণী দীপিকা সাহাও বক্তব্য রাখেন।