দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || দ্রুততার সঙ্গে আগরতলা -আখাউড়া (বাংলাদেশ) রেল লাইনের কাজ শেষ করতে জরুরিভিত্তিতে কাজ করছে দু’দেশের নির্মাণকারী সংস্থা। রেল লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হলেই চালু হবে আগরতলা-কলকাতা ভায়া বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ।বাংলাদেশের সাথে রাজ্যের রেল যোগাযোগ আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আগরতলা-আখাউড়া রেল লিঙ্ক চালু করার বিষয়ে সম্প্রতি নয়াদিল্লীতে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সাথে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বহু প্রতীক্ষিত আগরতলা- আখাউড়া রেল লিঙ্ক প্রকল্পটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ কথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী নয়াদিল্লীতে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর সাথে আলোচ্য বিষয় সমূহ সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী গত ১৯ এপ্রিল নয়াদিল্লীতে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সাথে সাক্ষাৎ করে রাজ্যের রেল পরিষেবা ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্যের প্রস্তাব সমূহ নিয়েও আলোচনা করেন। পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী জানান,রেল পরিষেবার উন্নতিতে যে সমস্ত প্রস্তাব রাজ্যের পক্ষ থেকে রেল মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিল সেই বিষয়গুলিও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন। আলোচনায় এ সমস্ত বিষয়গুলি দ্রুত বিবেচনা করার জন্যও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর কাছে পরিবহণ মন্ত্রী অনুরোধ জানিয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ মন্ত্রী জানান, আগরতলা- আখাউড়া রেল সংযোগের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য অতিরিক্ত ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার জন্য কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ডোনার মন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন। পরিবহণ মন্ত্রী জানান, আগরতলা-আখাউড়া রেল লিঙ্ক প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে ডোনার মন্ত্রক। ডোনার মন্ত্রক খুব শীঘ্রই এই অর্থ মঞ্জুর করবে। তিনি জানান, এই রেল লিঙ্ক প্রকল্পে ভারতীয় অংশে ৮৫ শতাংশ ও বাংলাদেশ অংশে ৭৩ শতাংশের কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
পরিবহণ মন্ত্রী আরও জানান, বাধারঘাটস্থিত আগরতলা রেল স্টেশনটিকে আন্তর্জাতিক মানের রেল স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। পরিবহণ মন্ত্রী জানান, আগরতলা রেল স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলার জন্য ডিপিআর তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। পরিবহণ মন্ত্রী জানান, রাজ্যের আগরতলা ও ধর্মনগর রেল স্টেশনে দুইটি এসকেলেটর চালু হবে। এতে যাত্রী পরিষেবায় স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় ধর্মনগর-পেচারথল-কৈলাসহর রেল লিঙ্ক চালুর বিষয়টিও প্রাধান্য পেয়েছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী এই লিঙ্ক প্রকল্পের কাজে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রেল মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই রেল লিঙ্ক প্রকল্পে ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ সার্ভের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ১,৮৫৫ কোটি টাকা। পরিবহণ মন্ত্রী জানান,কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় লামডিং থেকে সাক্রম পর্যন্ত রেল লাইনকে ডবল লাইন রেল ট্র্যাক চালু করার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। তাছাড়াও বিলোনীয়া থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রেলপথের সম্প্রসারণের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবহণ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব সুব্রত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…
অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…