অনলাইন প্রতিনিধি :-মহারাজা বীর বিক্রম আগরতলা বিমানবন্দরের নয়া অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন উদ্বোধনের পর প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত হতে চললো। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতি এখনও মেলেনি।আর সেই কারণে মহারাজা বীর বিক্রম আগরতলা বিমানবন্দরের নামের পাশে আন্তর্জাতিক কথাটি লিখতে পারছে না বিমানবন্দর অথরিটি।সঙ্গত কারণে আন্তর্জাতিক বিমান উড়ান পরিষেবা চালুও ঝুলে রইল।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারী বিমানবন্দরের নতুন জায়গায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত অত্যাধুনিক টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন করেছিলেন।সেদিন প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরের নয়া আধুনিক টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন করে ঘোষণা দিয়েছিলেন মহারাজা বীর বিক্রম আগরতলা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে। প্রধানমন্ত্রী টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন করে তাও জানিয়েছিলেন আজ ৪ জানুয়ারী ২০২২ সাল থেকেই মহারাজা বীর বিক্রম আগরতলা বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে গেছে।স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যবাসী মহারাজা বীর বিক্রম আগরতলা বিমানবন্দরকে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা দেওয়ায় খুশি হন।সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর এক এক করে ৩৪ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেল। বিস্ময়কর ও অবাক হওয়ার ব্যাপার হলো ৩৪ মাস অর্থাৎ প্রায় তিন বছরেও মহারাজা বীর বিক্রম আগরতলা বিমানবন্দরের বাস্তবেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখনও মেলেনি।অধরাই রয়ে গেল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী দিল্লী থেকে ছুটে এসে আগরতলায় দাঁড়িয়ে বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা দিয়ে যান সেখানে ৩৪ মাস পরেও তার কেন্দ্রীয় সরকার এখনও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়নি বিমানবন্দরকে।কেন্দ্রীয় সরকার থেকে মহারাজা বীর বিক্রম আগরতলা বিমানবন্দরকে সরকারী স্বীকৃতি ও সার্টিফিকেট না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহল ও রাজ্যবাসী গভীরভাবেই বিস্মিত।যেখানে প্রধানমন্ত্রী এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা দেন সেখানে কীভাবে তার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে সরকারীভাবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে স্বীকৃতি না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তা
নিয়েও সকলেই বিস্মিত ও অবাক।বিমানবন্দরের নতুন জায়গায় বিশাল এরিয়া(ত্রিশ হাজার স্কোয়ার মিটার)নিয়ে আধুনিক টার্মিনাল ভবনটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দুই স্তরেই বিমান পরিষেবা চালু করার সব ধরনের সুবিধা রেখে নির্মাণ করা হয়। টার্মিনাল ভবনের ভেতর পৃথকভাবে মাঝামাঝি জায়গায় আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রীদের লাউঞ্জ ও অন্যান্য সুবিধা রাখা হয়। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা দেওয়ার জন্য যেসব ব্যবস্থা থাকা দরকার সেসব ব্যবস্থা টার্মিনাল ভবনে রয়েছে।কিন্তু তারপরও কেন কেন্দ্রীয় সরকার ও তার সংশ্লিষ্ট বিভাগ,মন্ত্রক মহারাজা বীর বিক্রম আগরতলা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিচ্ছে না তা নিয়ে বিস্ময়ই নয়,রাজ্যবাসীর মধ্যে অসন্তোষও দেখা দিয়েছে।তবে এ বিষয়ে রাজ্য সরকার যে চুপচাপ বসে রয়েছে তা কিন্তু নয়।রাজ্য সরকার থেকে বারবার দিল্লীতে কেন্দ্রীয় সরকার ও তার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে অবগত করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের জন্য। আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করতে হলে কাস্টমস ডিউটি কাউন্টার এবং ইমিগ্রেশন ডিউটি কাউন্টার চালু রাখতে হয়।গত জানুয়ারী মাসে কাস্টমস ডিউটি চালু রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে ক্লিয়ারেন্স দিলেও আটকে রয়েছে ইমিগ্রেশন ডিউটি ক্লিয়ারেন্স। আর সেই কারণে মূলত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বীকৃতিও আটকে রয়েছে। বিমানবন্দরে নিরাপত্তা কর্মী সিআইএসএফ পর্যাপ্ত সংখ্যায় নেই বলে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই দাবি তুলে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে না বলে বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর্যাপ্ত নিরাপত্তায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকার থেকে এক বছর আগেই দিল্লীতে এবং এমবিবি আগরতলা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে স্পষ্টভাবেই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যায় ত্রিপুরা সরকারের অধীনে কর্মরত পুলিশ অফিসার ও কর্মী দেবে। বিস্তারিতভাবেই রাজ্য সরকার বিমানবন্দরের নিরাপত্তা অফিসার ও কর্মী ডেপুটেশনের মাধ্যমে দেবে বলে দিল্লীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও জানিয়েছে। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এক বছর আগে থেকে রাজ্য সরকার আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর জন্য ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স চেয়ে দিল্লীতে দরবার করলেও ডবল ইঞ্জিন সরকারের কোনও সুফল এখনও মিলছে না বলেই অভিযোগ। কবে বিমানবন্দরের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে সে বিষয়ে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার এমবিবি আগরতলা বিমানবন্দরের প্রধান কর্তৃপক্ষ তথা অধিকর্তা কেশব চন্দ্র মিনা বুধবার জানান তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না। দিল্লী থেকে কবে ইমিগ্রেশন চালুর ক্লিয়ারেন্স মিলবে সে বিষয়ে বিমানবন্দর অধিকর্তা এখনই কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান। তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দিল্লী থেকে এলে তখনই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বলা যাবে। এই স্বীকৃতি পেলে বিমানবন্দরের নাম ও সাইনবোর্ড পাল্টিয়ে মহারাজা বীর বিক্রম আগরতলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিখতে হবে। এদিকে রাজ্য সরকার আগরতলা- চিটাগাঙের (বাংলাদেশ) মধ্যে স্পাইসজেটের বিমান দিয়ে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর উদ্যোগের কথা ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জানালেও সে বিষয়টিও আর এগোয়নি। আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা ঝুলে রয়েছে। এদিকে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবস্তু সংসদের গত অধিবেশন চলাকালীন এমবিবি আগরতলা বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর জন্য আটকে থাকা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…