অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে আপাতত বন্ধ থাকবে সরকারী, বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। ত্রিপুরায় অভূতপূর্ব বন্যা পরিস্থিতিতে সমস্ত সরকারী, বেসরকারী অনুমোদনপ্রাপ্ত ও টিটিএএডিসির অন্তর্ভুক্ত বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসাগুলি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ সংবাদ জানান শিক্ষা অধিকর্তা এনসি শর্মা।
তিনি জানান, ভয়াবহ বন্যায় রাজ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।বর্তমানে ২৩৯ স্কুলে বন্যা দুর্গতদের জন্যে ত্রাণ শিবির রয়েছে।আর বন্যায় ২০৯টি স্কুল সহ ৩টি কলেজের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।আর যেসব স্কুল, কলেজ থেকে বন্যার জল সরে গিয়েছে এগুলির পরিস্থিতি আরও বেশি খারাপ।এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঠন পাঠন শুরু করা অসম্ভব।বিভিন্ন রোগের জীবাণু এখন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে স্কুল, কলেজ পরিষ্কার করে আগে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠনের জন্যে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। এরপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করা যাবে। তিনি জানান, অমরপুর, উদয়পুর শহরের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি।
তাই উদয়পুর ও অমরপুরের কোনও প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করা যায়নি। তবে অন্যান্য জেলা ও মহকুমার প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী শিক্ষা দপ্তরের প্রায় ১১ কোটি টাকার পরিকাঠামো নষ্ট হয়েছে।বিলোনীয়ার সাতচাঁদ ব্লকের জগৎরাম পাড়া, এসবি স্কুল এবং বিসি নগর ব্লকের ধনন্ত পাড়া, জেবি স্কুল বন্যায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুটি স্কুল পুনর্নির্মাণ করতে হতে পারে।
তিনি জানান, প্রায় ১২ হাজার ছাত্রছাত্রীর পাঠ্যপুস্তক নষ্ট হয়েছে।রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার হাজারো ছাত্রছাত্রী এখনও ত্রাণ শিবিরে রয়েছে।তবে রাজ্য সরকার এসসিইআরটি-র মাধ্যমে সব ছাত্রছাত্রীদের পুনরায় পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।প্রথম পর্যায়ে ১২৩৩৬ জনকে পাঠ্যপুস্তক প্রদানের অনুরোধ রাজ্য সরকারের কাছে এসেছে। তাই এখন প্রথম ধাপে জোলাইবাড়িতে ৩৪১৬ জন এবং শান্তিরবাজারে ১১২৫ জনকে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করবে শিক্ষা দপ্তর।
উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা জানান,বিলোনীয়া ও মোহনপুর সরকারী সাধারণ ডিগ্রি কলেজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।এমনকী বিলোনীয়া ও শান্তিরবাজারের সরকারী গ্রন্থাগারের প্রায় ৭৮ হাজার বই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের পরিকাঠামো পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এখন কলেজ থেকে জল সরে গেলেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ কলেজগুলিতে রয়েছে। তাই এ মুহূর্তে কলেজে পড়াশোনা শুরু করার কোনও সুযোগ নেই। তিনি কবে নাগাদ স্কুল ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে তা পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকারের সাথে বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত হবে।তবে আপাতত স্কুল, কলেজ, বিশ্বদ্যিালয় খুলছে না। এসসিইআরটির অধিকর্তা সহ অন্যরা সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…