আবারও তিন বাংলাদেশী আটক!!
রাজ্যে প্রবেশের পথে তিন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করলো চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ। ঘটনা বৃহস্পতিবার দুপুরে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে এই তিন যুবক আসামের চুড়াইবাড়ি এলাকার পুলিশের গন্ডি পেরিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করার সময় চুড়াইবাড়ি থানার নাকা পয়েন্টের সামনে আসলে তাদের গতিবিধি দেখে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের সন্দেহ হয়। তৎক্ষনাৎ সন্দেহভাজন ওই তিন যুবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ।
তাদের কথায় অসংলগ্নতা লক্ষ্য করতে পেরে জোর জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাদের তল্লাশি চালায় চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ। অবশেষে ওই তিন যুবক স্বীকার করে যে, তারা বাংলাদেশী নাগরিক। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশী ৫৩৫ টাকা, ৪৫০০ ভারতীয় টাকা সহ দুটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৮/৪৭১/৩ অফ পাসপোর্ট এক্ট এবং ১৪(এ) অফ ফরেনার ধারায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
শুক্রবার তাদের পুলিশি রিমান্ড চেয়ে ধর্মনগর জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন চুড়াইবাড়ি থানার সাব ইন্সপেক্টর পিযুষ সাহা। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা স্বীকার করেছে যে, তারা বছর খানেক আগে কাজের সন্ধানে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর তামিলনাড়ুর একটি গার্মেন্টসে কর্মরত ছিল তারা।
সেখানে দালাল মারফত ভুয়ো ভারতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে।
উল্লেখ্য একই দিনে টিলাবাজার থেকে ৬ বাংলাদেশী যুবককে আটক করার পাশাপাশি এদিনই দুপুরে আরও তিন বাংলাদেশী যুবককে আটক করলো চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ। এই নিয়ে একইদিনে সর্বমোট ৯ জন বাংলাদেশী নাগরিক আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সীমান্ত রক্ষীদের ওপর।