Categories: দেশ

আবাসন প্রকল্প বানাবেন গৌতম আদানি

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

বন্দর ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন, আমদানি রপ্তানি পণ্য পরিবহন, আবাসনসহ নানা খাতে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন ভারতীয় বিলিয়নিয়ার ও এই মুহূর্তে এশিয়ার শীর্ষধনী গৌতম আদানি। সমগ্র ভারতজুড়ে রয়েছে তার শিল্প সাম্রাজ্য। তবে এবার তার নজর পড়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ বস্তি ধারাভির ওপর। বস্তি উচ্ছেদ করে আধুনিক আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন
করতে চলেছেন তিনি। মুম্বই শহরের কেন্দ্রে ৫৪০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত ধারাভি বস্তি। আর দশটা সাধারণ বস্তির মতো ধারাভি বস্তিতেও চোখে পড়বে টিন-তেরপল দিয়ে
বানানো অন্ধকার খুপরি ঘর, নোংরা ড্রেন, সরু গলি, দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেট। শতবর্ষ প্রাচীন এই বস্তিতে মুম্বই শহরের সবচেয়ে নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের বসবাস। অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ এর কিছু
অংশের শ্যুটিং এখানে হওয়ার পর এই বস্তি বিশ্বব্যাপী আরও পরিচিতি পায়। ভারতীয় মাল্টিন্যাশনাল কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের মালিক গৌতম আদানি এই বস্তির জায়গায়
সোশ্যাল হাউজিং ও বিলাসবহুল ভবন নির্মাণের জন্য সাত বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। আদানির আড়াইশো কোটি পাউন্ডের এই পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই অনুমোদন করেছে ভারত সরকার। মুম্বইয়ের মেট্রোপলিটন কমিশনার ও ধারাভি উন্নয়ন প্রকল্পের সিইও এসভিআর
শ্রীনিবাসের ভাষ্যে, ‘এটি বিশ্বের বৃহত্তম নগর উন্নয়ন প্রকল্প।’ সরকারি কার্যালয়ের নয়তলা
থেকে ধারাভি বস্তির দিকে তাকিয়ে এসভিআর শ্রীনিবাস বলেছেন, ‘সিনেমায় দারিদ্রকে রোমান্টিক করে তোলা আর বাস্তবে দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করা আলাদা জিনিস। এ প্রকল্প বস্তি-মুক্ত মুম্বই গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ। এই মুহূর্তে এই বস্তিতে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন
করছে। তাদের বিশুদ্ধ জল নেই টয়লেট নেই। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে এসেও মৌলিক অধিকারগুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।’ নতুন প্রকল্পটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা
গিয়েছে বস্তির অধিবাসীদের মধ্যে। কেউ কেউ নিজেদের জীবনমান উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন, বস্তি উচ্ছেদ করলে তাদের আরও বেশি ক্ষতি
হবে। একটি স্কুলে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত সাইবু পুজারি (৩২) বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য ভালো হবে। ভালো কিছুকরতে চাইলে তো পুরনো কিছুভেঙে ফেলতেই হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ভবিষ্যতের কথা ভাবে না।’ কিন্তু বস্তির আরেক বাসিন্দা, ৪৬ বছর বয়সী ধন মোহন শেঠী মনে করেন, ধারাভিতে বসবাসরতদের মধ্যে নিজস্ব একটি সহায়তা প্রক্রিয়া রয়েছে। এখানে একজন বিপদে পড়লে অন্যরা তাকে সাহায্য করে। কিন্তু আধুনিক বহুতল ভবনের ভেতরে সেই সহায়তা তারা নাও পেতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এখানে যদি আমরা না খেয়ে থাকি, তাহলে প্রতিবেশিরা আমাদের খাবার দেয়।
এখানে আমার সন্তানদের পড়াশোনার জন্য একটা স্কুল ও রয়েছে।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

সাসপেন্ড ১২ জন আপ বিধায়ক!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-নতুন সরকার গড়ার পরেই ‘আপের শেষ দেখে নেওয়ার’ হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পদ্ম শিবির এবার…

3 hours ago

শিখ দাঙ্গায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ইন্দিরা গান্ধী হত্যা পরবর্তী তে ১৯৮৪-এর শিখ ধর্মাবলম্বী বাবা যশবন্ত সিং ও ছেলে…

3 hours ago

প্রতিবেশী সম্পর্ক!!

'প্রতিবেশী' এই শব্দটির মানে অর্থ কি? খুব সহজ করে বললে,এর উত্তর হচ্ছে 'নিজের কাছাকাছি বা…

4 hours ago

নয়া করোনার খোঁজ, ছড়াবে বাদুড় থেকে।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-আমেরিকা প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে যে,চিন থেকেই ছড়াতে শুরু করেছিল করোনাভাইরাস।আমেরিকা এমনও…

4 hours ago

রাত তিনটায় সাংবাদিক সম্মেলন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলাদেশেআইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে ঠেকেছে।একথা স্বীকার করেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা থেকে শুরু করে দেশের…

5 hours ago

নিয়োগ দুর্নীতিতে সীমা ছাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঘুমে সরকার।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-অবশেষে বেকার বিক্ষোভের চাপে ফের চাকরির পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করতে বাধ্য হলো ত্রিপুরা…

5 hours ago