বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
আবাস যোজনায় নতুন বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিল রাজ্য।

অনলাইন প্রতিনিধি || প্রধান গ্রামীণ আবাস যোজনায় রাজ্য নতুন করে পেলো আরও ১,৩০,৬৯৫টি ঘর। কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ত্রিপুরার জন্য এই বরাদ্দকৃত ঘরের অনুমোদন দিয়েছে।এর আগে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় রাজ্য পেয়েছিল একসাথে ২ লক্ষ ১ হাজার ঘর। এরমধ্যে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ঘরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। বাকি ৪৮ হাজার ঘরের নির্মাণকাজ চলছে।বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।সব মিলিয়ে দুই দফায় রাজ্যের জন্য মোট ৩,৩১,৬৯৫টি ঘর গ্রামীণ এলাকার মানুষের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।এর মধ্য দিয়ে গ্রামীণ মানুষ যেমন উপকৃত হচ্ছেন,তেমনি রাজ্যের আর্থিক বিকাশেও বড় ভূমিকা পালন করছে।মন্ত্রী জানান, বিগত সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে চরম রাজনীতি করা হতো। পঁচিশ বছরে রাজ্যে বরাদ্দ এসেছিল মাত্র চল্লিশ হাজার। তাতেও ছিলো বৈষম্য। প্রকৃত গরিবরা সেই ঘর পায়নি। পেয়েছে বাম ক্যাডাররা। বর্তমান সরকার কোনও প্রকল্প নিয়েই রাজনীতির রঙ বিচার করে না।যাদের ঘরের প্রয়োজন রয়েছে তারা প্রত্যেকেই ঘর পাবে।একজনও বাদ যাবে না। বর্তমান সরকারের আমলে শুধু গ্রামীণ এলাকায় ঘর বরাদ্দ হয়েছে মোট ৩,৩১,৬৯৫টি। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য। ত্রিপুরার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আলাদাভাবে নজর রয়েছে। গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরা শুধু গ্রামীণ এলাকার জন্য ঘর পেয়েছে ৩,৩১,৬৯৫টি। অথচ গত পাঁচ বছরে আসাম পেয়েছে ৭৭,৯৭৮টি ঘর, মণিপুর পেয়েছে ৫৯,১৮০টি ঘর, মেঘালয় পেয়েছে ১,১৫,৬৫৪টি ঘর, মিজোরাম ১২,৪৮৯টি ঘর, নাগাল্যাণ্ড ২৯,৮৯২টি ঘর এবং সিকিম পেয়েছে ৬০,৪২৯টি গ্রামীণ এলাকার জন্য ঘর। মন্ত্রী বলেন,আমাদের রাজ্যে ৭,৪২,০০০ গ্রামীণ পরিবার রয়েছেন এদের প্রত্যেকের ঘরের প্রয়োজন নেই। যারাই ঘরের জন্য আবেদন করেছেন এবং প্রথম দফায় যারা ঘর পাননি তাদের এবার ঘর প্রদান করা হবে।শুধু গ্রামীণ এলাকার জন্য নয়, প্রধানমন্ত্রী শহর আবাস যোজনাতেও রাজ্যের নগর এলাকার জন্য ৮৭ হাজার ঘর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আগেই।এরমধ্যে ৫৩ হাজার ঘর নির্মাণ হয়ে গেছে। বাকিগুলির নির্মাণকাজ চলছে।নতুন করে রাজ্যের জন্য ১,৩০,৬৯৫টি ঘর অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী।