ত্রিপুরার সাহিত্য চর্চায় নয়া ইতিহাস রচনা করেছে উড়ান: জয় গোস্বামী।।
আবেদন করতে পারেন বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের কর্মপ্রার্থী!!

বেকারত্ব লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভারতে । করোনা অতিমারি পরিস্থিতির পর ভারতের বাজারে চাকরির বাজার আরও খারাপ হয়েছে । চারদিকে বেকারের ভিড় , অথচ শিল্পে উৎপাদনের হার তলানির দিকে । তার উপর প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশ ছোঁয়া । অথচ অন্যদিকে একবারে বিপরীত অবস্থা কানাডায় । সেখানে ১০ লক্ষ শূন্যপদ ! অথচ কাজের লোক নেই ! গোটা বিশ্ব থেকে লোকজনকে কানাডায় গিয়ে কাজ করার খোলা নিমন্ত্রণ দিচ্ছে এ দেশের সরকার । শুধু তাই নয় , চাকরির সূত্রে এ দেশের স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারেও বহির্বিশ্বের প্রার্থীদের সুবিধা দেবে কানাডার সরকার । ২০২২ সালে কানাডা তার সবচেয়ে বড় সংখ্যক স্থায়ী বাসিন্দাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত । চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লক্ষ ৩০ হাজার । ২০২৪ সাল নাগাদ তাদের কর্মপ্রার্থীর লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে চার লক্ষ পেরিয়ে যাবে । এক কথায় বলতে গেলে কানাডার পরিস্থিতি হল লোক কম , কাজ বেশি । যারা এখন নানা সংস্থায় কাজ করছেন , তারা আগামী দিনে অবসর নেবেন । তখন কী হবে ! কারণ এ দেশের নতুন প্রজন্ম চাকরি করতে রাজি নয় । সব মিলিয়ে কানাডায় কাজের লোকের , বড়ই অভাব । ২০২২ – এর শ্রম শক্তি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে গত বছরের মে মাসের তুলনায় এ বছর শূন্যপদের সংখ্যা বেড়েছে তিন লক্ষেরও বেশি । এই পরিস্থিতিতে এ বছরই কানাডা ৪ লক্ষের বেশি মানুষকে সে দেশের স্থায়ী নাগরিকত্ব প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । আগামী বছর অর্থাৎ , ২০২৪ – এ তা বেড়ে হবে সাড়ে ৪ লক্ষ বলে এ দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবর । কানাডা দেশটা সুন্দর । আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি যথেষ্ট ভাল । শাসক দলের প্রচ্ছন্ন মদতে ব্যাঙ্ক থেকে ব্যবসা করার নামে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে , তারপর অফিসে লালবাতি জ্বালিয়ে দিয়ে দেশান্তরি হয়েছেন এমন ব্যবসায়ী এ দেশে কার্যত নেই । তাই যারা ভাবছেন , পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কানাডায় গিয়ে চাকরি করবেন এবং দরকারে এ দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করবেন , তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগের হাতছানি এখন । বিভিন্ন পেশার লোকেদের দরকার কানাডায় । যেমন পরিবহণ , অর্থ , বিমা থেকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা , প্রযুক্তি নির্ভর কাজের পাশাপাশি রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রেও বিপুল শূন্যপদ রয়েছে এবং আগামী দিনে তা আরও বাড়বে । ২০২০-২১ সালে গোটা বিশ্বের সিংহভাগ দেশে যখন লকডাউনের জেরে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে , কানাডা সেখানেও ব্যতিক্রম ছিল । দেশের সংক্রমণকে কড়া হাতে দমন করেছিল কানাডিয়ান সরকার । এমনিতে এ দেশে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের বাস । দেশের মন্ত্রিসভাতেও এমন মানুষের সংখ্যা একাধিক । কানাডায় করোনা অতিমারি উত্তর পর্বেও কাজের সুযোগ বেড়েছে । যেমন নির্মাণ শিল্পে এখানে গত এপ্রিলে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ৮৯ হাজার ৯০০। যা গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি । হোটেল ও খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে মে মাসে দু – তিনটি পরিষেবা সংস্থাতেই দেড় লক্ষেরও বেশি লোকের প্রয়োজন ছিল । এই ক্ষেত্রে গত ১৩ মাস ধরেই বিপুল শূন্যপদে কেউ চাকরি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ।কানাডা সরকার সূত্রে খবর, আলবাটা এবং অন্টারিওতে এপ্রিল মাসে বেকারের সংখ্যা ছিলো মাত্র ১.১ জন। নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডরে শূন্য পদের জন্য মোটামুটি চারজন বেকার লোক ছিল । পেশাগত , বৈজ্ঞানিক , এবং প্রযুক্তিগত পরিষেবা , পরিবহন এবং গুদামজাতকরণ , অর্থ ও বীমা ,অবসর এবং বিনোদন এবং রিয়েল এস্টেট সবই রেকর্ড পরিমাণ শূন্যপদ তৈরি হয়েছে।