আমজনতার জন্য খুলছে ডিজিটাল কারেন্সি!!
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ডিজিটাল কারেন্সি চালুর কথা ঘোষণা করল ভারতীয় রিজার্ভব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া বা আরবিআই । কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে মঙ্গলবার দিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে , ১ ডিসেম্বর ভারতে
প্রথমবারের জন্য খুচরো লেনদেনে ডিজিটাল রুপি চালু হতে যাচ্ছে। আপাতত পাইকারি বাজারের মতো খুচরো বাজারের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল কারেন্সিকে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ হিসাবে ব্যবহার করতে চলেছে আরবিআই ।
আপাতত সূত্রের খবর, এই পাইলট প্রজেক্টটি কিছু নির্বাচিত জায়গায় ‘ক্লোজড ইউজার গ্রুপ’-এ শুরু করা হবে। যেখানে থাকবেন ক্ষুদ্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীরাও। পরবর্তীতে এর পরিধি আরও বড় হতে পারে। এই ই-রুপি একটি ডিজিটাল
টোকেন হিসেবে কাজ করবে। বর্তমানে প্রচলিত নোট কয়েনগুলি যেভাবে কাজ করছে, ডিজিটাল কারেন্সিও একই ভাবে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ডিজিটাল কারেন্সির ভ্যালুও থাকছে সাধারণ টাকারই তুল্য। রিজার্ভ
ব্যাঙ্কের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই ডিজিটাল কারেন্সি বিতরণ করা হবে। আপাতত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে আটটি ব্যাঙ্ককে এই পাইলট প্রজেক্টের অংশ হিসেবে বেছে হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট
পেশ কালে সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতের হাতে আসবে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা। সেইদিন তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, রিজার্ভব্যাংকের চালু করা ডিজিটাল কারেন্সিকেই মুদ্রা হিসেবে গণ্য করা হবে। ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার
বার্তা দিয়েও ডিজিটাল সম্পত্তিতে কর চাপিয়েও ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রসঙ্গ যেভাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এড়িয়ে গিয়েছিলেন তা দেখে অনেক বিশেষজ্ঞরাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ভারতের একটি নির্দিষ্ট অংশ, বা
বলা যেতে পারে একটি নির্দিষ্ট বয়সের
নাগরিকেরা ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে খুবই
আগ্রহী। বিভিন্ন মহল থেকে এমনও দাবি
করা হচ্ছে, যে ডিজিটাল কারেন্সি আসলে ভারতের ভবিষ্যত। ডিজিটাল মুদ্রার পাশাপাশি, ক্রিপ্টো থেকে আয়ের উপর ৩০ শতাংশ কর বসাতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
রিজার্ভব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, আপাতত দেশের মুম্বই, বেঙ্গালুরু, নয়াদিল্লি, ভুবনেশ্বরে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে লঞ্চ হচ্ছে ই-রুপি। পরবর্তী সময়ে আহমেদাবাদ, গ্যাংটক, গুয়াহাটি,
হায়দরাবাদ, ইন্দোর, কোচি, লখনউ, পাটনা ও সিমলাতে এই ই-রুপি লঞ্চ করা হবে। নির্মলা মঙ্গলবার এক ইংরাজি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘একটি কারেন্সিকে তখনই কারেন্সি বলতে পারি, যখন সেটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দ্বারা জারি করা হবে। রিজার্ভব্যাংক দ্বারা চালু এই ডিজিটাল
কারেন্সি ছাড়া অন্য ডিজিটাল সম্পত্তিতে ৩০ শতাংশ কর বসানো হয়েছে।’