আমেরিকাকে চাপে রাখতে চিনা সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ব্রিটিশ পাইলট !

 আমেরিকাকে চাপে রাখতে চিনা সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ব্রিটিশ পাইলট !
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

আন্তর্জাতিক কুটনীতির দুনিয়ায়, আরও বিশদে বললে, আন্তর্জাতিক ভারসাম্যের কূটনীতিতে ব্রিটেন আমেরিকার মিত্র দেশ। যে আমেরিকার অন্যতম প্রতিপক্ষ দেশ চিন। অনেকদিন ধরেই এমন খবর ভাসছিল যে আমেরিকার গতিবিধি জানতে ব্রিটেনের সঙ্গে দোস্তি বাড়াতে চাইছে চিন। এবার সেই খবরের সত্যতা সামানে এলো। জানা গেছে, চিন তার সৈন্যদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রাক্তন ব্রিটিশ সেনাবাহিনী এবং বিমান প্রায় ১৬ হাজার কোটি বাহিনীর পাইলটদের নিয়োগ করছে। তবে ব্রিটিশ সরকারের জ্ঞাতার্থে নয়, চিন পুরো কাজটাই করছে গোপনে, ব্রিটিশ সরকারকে গোপনে রেখে। এই পরিকল্পনা অত্যন্ত গোপনে পরিচালিত হচ্ছে যাতে ব্রিটিশ সরকারের সন্দেহ না হয়। তবে কী ভাবে এমন ঘটনা চলছে ? সূত্রের খবর, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ পাইলট ব্যবসায়িক সফরের নামে চিনে যাতায়াত করছেন। অনেক রিপোর্টে এই ব্রিটিশ পাইলটদের বিরুদ্ধে চিনকে গোয়েন্দা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখন এই প্রকাশের পর ব্রিটেনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ সরকার বলেছে, তারা চিনে পিপলস লিবারেশন আর্মির কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য চাকরিরত এবং প্রাক্তন ব্রিটিশ।।।।সামরিক পাইলটদের নিয়োগের প্রচেষ্টা বন্ধ করার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জন প্রাক্তন ব্রিটিশ সামরিক পাইলট চিনা সেনাবাহিনীতে সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিতে গেছেন। রয়্যাল এয়ার ফোর্স এবং ২০২২ সালের অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের চিনের এই ধরনের নিয়োগ অভিযানের বিরুদ্ধে গোপন তথ্যের মাধ্যমে সতর্ক করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য, তাদের সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন পাইলটদের বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করছে চিন। উদ্দেশ্য, তাদের বিভিন্ন সামরিক কলাকৌশল ও দক্ষতা চিনা সামরিক বাহিনীতে কাজে লাগানো। তবে আরও বড় উদ্দেশ্য হল, আমেরিকার জনপ্রিয়। বায়ুসেনার সঙ্গে সমানে টক্কর দেওয়ার কৌশল রপ্ত করা। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, প্রাক্তন ব্রিটিশ পাইলটদের নিয়োগের তথ্য হাতে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে লিজ ট্রাস সরকার
এ ব্যাপারে লাগাম টানতে গোয়েন্দা সতর্কতা জারি করতে চলেছে লন্ডন। কথা উঠেছে চিন কি এমন কাজ করতে পারে? এতে কি আন্তর্জাতিক বলেন হঁটেছেন কূটনীতিক আইন-কানুন লঙ্ঘিত হচ্ছে না? চিন দাবি করছে, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ তৈরি জেরেমি বায়ুসেনার পাইলটদের নিয়োগ করে তারা কোনও ভুল করেনি। চিনের যুক্তি, তাদের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিদ্যমান যুক্তরাজ্যের আইন লঙ্ঘন করে না। তবে চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করার জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা প্রদান করবে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক মুখপাত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, চিনে পিপলস লিবারেশন আর্মির কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য সার্ভিসিং এবং প্রাক্তন ব্রিটিশ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সমস্ত চাকরিরত এবং প্রাক্তন অফিসার ইতিমধ্যেই তাই অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় রয়েছেন এবং আমরা প্রতিরক্ষা খাতে গোপনীয়তা চুক্তি এবং প্রকাশ না করার চুক্তিগুলি পর্যালোচনা করছি।’ ব্রিটেনের বাদা সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী জেমস হিপ্পি স্কাই নিউজকে বলেছেন, চিনা পাইলটদের হল প্রশিক্ষণের জন্য ব্রিটিশ পাইলটদের নিয়োগ অনেক বছর ধরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তবে ব্রিটিশ বায়ুসেনার অবসরপ্রাপ্ত পাইলটদের একাংশ যে চিনের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন তার কারণ মোটা বেতন। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা বলেন মন্ত্রকের ওই মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের প্রাক্তন পাইলটদের যে পরিমাণ অর্থের ফাটা প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে তা খুবই আকর্ষণীয়। একাধিক পাইলটকে মাসে ২ লাখ ৭০ করুন হাজার ডলার পর্যন্ত চুক্তিতে নিয়োগ করছে চিন ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.