আম চাষীদের পাশে দাঁড়াক সরকার ও দপ্তর!

 আম চাষীদের পাশে দাঁড়াক সরকার ও দপ্তর!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিশ্বের সবচাইতে রসালো এবং সুস্বাদু ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ” আম”। তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। রাজ্যের বাজারে সুস্বাদু সমস্ত আমই আসে ভিন রাজ্য থেকে। চিরাচরিত একটা ধারনা সাধারণের মধ্যে তৈরি হয়েছে, রাজ্যের মাটিতে আমের ভালো ফলন হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এ ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে আম চাষে নজির গড়ল রাজ্যের যুবক সুপায়ন চাকমা। থাইল্যাণ্ড,বার্মা, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের আম চাষ করে ত্রিপুরায় এখন বেশ সাড়া ফেলেছেন রাজ্যের এই আমচাষী। ভিন দেশ নয়, এখন ত্রিপুরার মাটিতেই চাষ হচ্ছে থাইল্যাণ্ড আমেরিকা সহ ভিন দেশের বিভিন্ন প্রজাতির সুমিষ্ট রসালো আম। আর এই আম চাষ করেই এখন সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন ঊনকোটি জেলার পেঁচারথল ব্লকের অধীন কান্দ্রা কারবারী পাড়ার উপজাতি যুবক সুপায়ন চাকমা। কুমারঘাট মহকুমা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি খামার বাড়ীর ৪০ বিঘা জায়গা জুড়ে ভিন দেশের থাইবেনানা, কিউজাই,বার্মিজ আম্রপল্লী সহ প্রায় দুহাজারেরও বেশি বিভিন্ন প্রজাতির আমের গাছ লাগিয়ে তাতে ব্যাতিক্রমী আম উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ত্রিপুরার ঐ যুবক। আমচাষী জানিয়েছেন বাংলাদেশের তার এক নিকটআত্মীয়ের কাছ থেকে অনুপ্রেরনা পেয়েই ব্যাতীক্রমী এই আমচাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে প্রথম নিজ জমিতে এই আমের চাষ শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে ছোট ছোট গাছে আসতে শুরু করে ফলন। পরে ২০২৩ সালে বিভিন্ন আম বাজারজাত করে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা উপার্যনও হয় বলে জানালেন আমচাষী। খেতে সুমিষ্ট রসালো এই আম বর্তমানে দুশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কুমারঘাট, মাছমারা এবং পেঁচারথলের বাজারে।
তিনি জানালেন, ভিন দেশের এই আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে স্থানীয় বাজারে। এবছর আম বিক্রি করে এখনো পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা উপার্যন হয়েছে। আম চাষের এই উপার্যন বর্তমানে সংসার প্রতিপালনের ক্ষেত্রেও তার বেশ সহায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বিগত শিলাবৃষ্টির কারনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। ব্যাতিক্রমী এই আম চাষ দেখতে তার বাগানে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন কৌতুহলীরা। তিনি জানালেন, এই আম চাষের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সরকারী সহায়তা মেলেনি তার। সরকার পাশে দাঁড়ালে আমের উৎপাদন দ্বিগুন করে বাইরের বাজারে রপ্তানি সহ বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থাও করা যাবে বলে আশাব্যাক্ত করেছেন সুপায়ন চাকমা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.