আরশোলার দুধ গরুর দুধের চেয়ে তিন গুণ বেশি পুষ্টিকর, দাবি গবেষণায়!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-‘সুপারফুড’।
ইদানীং হেলথ টিপস মানেই সুপারফুডের অবধারিত উপস্থিতি।কী এই সুপার-খাদ্য?সহজ কথায়,অতি স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর।যে ধরনের খাদ্য খেলে বেশি ফিট থাকা যায়।যেমন তাজা শাক, জাম, স্ট্রবেরি কিংবা বাদাম, যাতে থাকে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।এই জাতীয় খাবার প্রাত্যহিক ডায়েটে যুক্ত হলে মানুষ বেশি সুস্থ থাকতে পারে।এক কথায়, সুপারফুড হল সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। এ বার বিজ্ঞানীদের গবেষণা জানাল, আরশোলার দুধ হচ্ছে একেবারে সুপাররফুড!হ্যাঁ,ঠিকই পড়ছেন।ঘরের মধ্যে লালচে রঙা যে পোকাটিকে ফড়ফড়িয়ে উড়তে দেখলে অনেকের বিবমিষা জাগে,গবেষণা বলছে,সেই আরশোলার দুধ নাকি সুপারফুডের তালিকায় নব সংযোজন!
প্রোটিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ঠাসা সেই বস্তুটি পুষ্টিগুণে গরুর দুধকেও টেক্কা দিতে পারে!একটু ভুল বলা হল, বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, আরশোলার দুধ গরুর দুধের চেয়ে তিন গুণ বেশি পুষ্টিকর।তবে রান্নাঘরে, ভাঁড়ার ঘরে কিংবা নর্দমার আশেপাশে যে আরশোলা আমরা দেখে অভ্যস্ত, তার দুধের কথা বিজ্ঞানীরা বলেননি। এই আরশোলা হল ‘প্যাসিফিক বিটল ককরোচ’ যার বিজ্ঞানসম্মত নাম ডিপ্লোটেরা পাঙ্কটাটা। বাদাম,দানাশস্য আর যা যা সুপারফুডের তালিকায় পড়ে, তার মতোই নাকি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই আরশোলার দুধ।শুনে কারও গা গুলিয়ে উঠতে পারে, কেউ নাক সিঁটকাতেই পারেন। তবে এই দুধ তৈরি হয় শিশু আরশোলাদের পানের জন্য।এ নিয়ে নানা রকম গবেষণা চলছে।নয় বছর আগে, ২০১৬ সালে জার্নাল অব ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ ক্রিস্ট্যালোগ্রাফি সাময়িকীতে প্রকাশিত বিজ্ঞানীদের এক গবেষণাপত্র প্রথম জানিয়েছিল যে, ডিপ্লোটের
পাঙ্কটাটার দুধ পুষ্টিগুণে ঠাসা। সেই গবেষণায় আরশোলার দুধ বাচ্চা আরশোলার শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ঢুকিয়ে দিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন, পাকস্থলীতে যাওয়ার পর তা সাদা দানাদার পদার্থে পরিণত হচ্ছে।গরুর দুধের মতো তরল নয়, ঘন দুধের মতো দেখতে একটি উপাদান নিঃসৃত হয় সেই বিশেষ শ্রেণির আরশোলার শরীর থেকে।সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, সেটি গরুর দুধের চেয়ে তিন গুণ বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।এতে প্রোটিন, ফ্যাট, শর্করা; সবই থাকে।এবার প্রশ্ন হল, মানুষ কি এই আরশোলাদের দুধ পান করতে পারবে?বিষয়টি এখনও গবেষণার স্তরেই রয়েছে।বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পুষ্টিগুণ নিয়ে দ্বিমত না থাকলেও এটি এখনই মানুষের খাদ্য হবে কি না,তার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।কারণ সবচেয়ে কঠিন কাজটি হল, ওই বিশেষ ধরনের আরশোলা থেকে দুগ্ধ নিষ্কাশন করা।হয়তো সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন শপিং মলে কৌটোয় ভরে আরশোলার গুঁড়ো দুধ বিক্রি হবে!

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

গত সাতবছরে উল্লেখযোগ্য সাফল্য, রাজ্যে উদ্যানজাত চাষে সবথেকে উজ্জ্বল সম্ভাবনা, দাবি রতনের!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে কৃষিক্ষেত্রে সবথেকে উজ্জ্বল সম্ভাবনা হচ্ছে উদ্যানজাত (হর্টি) ফসল চাষে।শুধু তাই নয়,এতে কৃষকদের…

2 hours ago

নাগপুরে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গুরুতর জখম চার পুলিশ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-নাগপুরের অশান্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে চার জন পুলিশ আধিকারিক গুরুতর জখম হয়েছেন…

2 hours ago

উচ্চ শিক্ষার হদ্দমুদ্দ! প্রিন্সিপালশূন্য ১৬ কলেজ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের১৬টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে প্রিন্সিপাল নেই।ফলে রাজ্য সরকারের ২৫টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে…

2 hours ago

গাবার্ডের পর্যবেক্ষণ!!

গত রবিবার মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স ইনটেলিজেন্স চিফ তথা আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান ভারত সফরে এসেছেন।মাত্র দুই…

2 hours ago

বিভিন্ন কলেজে সহ-অধ্যাপক নিয়োগ, অফলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ করতে টিপিএসসিকে নির্দেশ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা লোকসেবাআয়োগের-৩০ শে জানুয়ারী, ২০২৫-এর বিজ্ঞপ্তি মূলে সরকারী (সাধারণ)মহাবিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সহ-অধ্যাপক পদে…

3 hours ago

উত্তপ্ত নাগপুর, কার্ফু জারি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের নাগপুরের মহল এলাকা ৷ ধর্মীয় গ্রন্থ পুড়িয়ে দেওয়ার গুজব ছড়ানোয় পাথর…

1 day ago