আর্থিক সংকটে ম্লান উৎসবের আনন্দ!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-সামনেই শারদোৎসব।হাতে আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি আছে। অথচ চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন রাজ্যের মধ্যবিত্ত,নিম্নমধ্যবিত্ত এবং গরিব অংশের জনগণ। বিশেষ করে গরিব অংশের মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। এর পিছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে এবারের ভয়াবহ বন্যা। সাম্প্রতিক বন্যায় রাজ্যের অর্ধেকের বেশি মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।এর মধ্যে বেশিরভাগই গরিব অংশের মানুষ।বহু মানুষের বাড়িঘর ভেঙে গেছে।বন্যার জলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানুষের সম্পদ।কৃষি ও কৃষকের অবস্থা আরও কাহিল।এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ দিশোহারা। গ্রামীণ অর্থনীতি একপ্রকার ভেঙে পড়েছে।
এমন ভয়াবহ সংকটজনক পরিস্থিতিতে ডবল ইঞ্জিন সরকারের কোনও সদর্থক উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। প্রায় দেড় মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে, এখনো পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা একটকাও সরকারী সাহায্য পায়নি বলে অভিযোগ ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা। বন্যার সময় রাজ্যের সাধারণ মানুষ,বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা, সংগঠন ব্যক্তিগত উদ্যোগ যেভাবে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তা রাজ্যের ইতিহাসে বিরল।এইভাবে সাহায্যের হাত না বাড়ালে বন্যায় দুর্গতদের কি অবস্থা হতো,তা ভাবলেই শিউড়ে উঠতে হয়।অথচ ডবল ইঞ্জিন সরকারের তরফ থেকে এমন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। শুধু তাই নয়,প্রতিবছর পুজোর প্রাক্কালে জবকার্ডের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় এমজিএন রেগার কাজ এবং শহর এলাকায় টুয়েপের কাজ করানো হতো।যাতে পুজোর আগে গরিব মানুষের হাতে কিছু অর্থ যায়।কিন্তু এ বছর এমন কোনও ঘোষণা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শোনা যায়নি।এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে রেগা ও টুয়েপের কাজ বন্ধ।জমিতে যে সব ফসল ছিল সব বন্যার জলে নষ্ট হয়ে গেছে।নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে গিয়ে কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ গরিব মানুষ প্রত্যেকেই আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে।ফলে কারোর হাতেই তেমন অর্থ নেই।রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাউল দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।সেই চাউলের এখনো কোনও খবর নেই। বন্যায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলেও বিভিন্ন রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন অর্থ প্রদান করেছে।প্রশ্ন হচ্ছে,এই অর্থ যদি অসহায় মানুষ প্রয়োজনের সময় হাতে না পায়, তাহলে এই ত্রাণ তহবিল দিয়ে কি হবে?সব মিলিয়ে উৎসবের মুখে সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে গরিব মানুষের মুখে হাসি নেই।বন্যার কবলে পড়ে আর্থিক অনটনে পুজোর আনন্দ কেড়ে নিয়েছে।

Dainik Digital

Recent Posts

শুরু হলো পর্ষদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল এপ্রিল মাসের শেষে…

7 hours ago

টিএমসি কাণ্ড, ঋণ নিয়েছিলেন অধ্যাপিকা!তদন্ত চলছে, কাউকে ছাড়া হবে না বিধানসভায় কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পাস করিয়ে দেবার নাম করে ডা. সোমা চৌধুরী নামে…

7 hours ago

নিজেদের অধিকার রক্ষায় বৈঠকে যাচ্ছে টিএফএর আজীবন সদস্যরা।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা টিএফএর সংবিধান সংশোধন করার নামে নিজেদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার…

8 hours ago

এডিসির ৩০২ স্কুলে ১ জন করে শিক্ষক, ছাত্র সমস্যা নিরসনে সরকার আন্তরিক, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-এডিসির ৩০২ টি স্কুলে শিক্ষক ১ রয়েছে।জাতীয় স্তরে প্রাথমিক স্কুলে ছাত্র- শিক্ষকের অনুপাত…

8 hours ago

কাজ করেনি,ফেরত গেছে ২২.৯১ কোটি টাকা,বাম আমলে অন্ধকারে ডুবে ছিল রাজ্যের পর্যটন: সুশান্ত।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-বামফ্রন্টের টানা ২৫ বছরে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের কোনও উন্নয়নই হয়নি। সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে…

8 hours ago

জাল ওষুধের রমরমা।

একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর। কথাটা বোধহয় এক্ষেত্রে একেবারে যথার্থভাবে ধ্বনিত হয়।গত কয়দিন ধরেই…

9 hours ago