Categories: দেশ

আর্থিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব সংগ্রহে গুরুত্ব

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

আবার আসছেন নতুন বিমা যোজনা। সরকারী সূত্রের খবর, এবার গোধন সুরক্ষা বিমা যোজনার ঘোষণা হতে পারে বাজেটে। অর্থাৎ গরুর সুরক্ষাবাবদ বিমার সুবিধা পাবে প্রাণী সম্পদ বিকাশের সঙ্গে যুক্ত খামারকর্মীরা। এমনকী বাড়িতে গরু থাকলেও তার উপরে বিমা করা যাবে। কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার ধাঁচেই এই বিমা করা হবে। প্রাথমিকভাবে অবশ্যই মোদি সরকার এবং বিজেপি ভোটের বছরে প্রচার করতে চাইছে গ্রামীণ ভারতের আর্থিক সুরক্ষা প্রদান এবং অর্থনীতির মূল স্রোতের সঙ্গে যাতে গ্রামীণ ভারতের কৃষি থেকে প্রাণী সম্পদ সবই সংযুক্ত হতে পারে এটা তারই একটি অতিরিক্ত প্রয়াস। কিন্তু এই উদ্দেশ্যের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রকের অন্যতম অ্যাজেণ্ডা হলো রাজকোষ পূরণ করা। অর্থাৎ আর্থিক ঘাটতি যাতে যতটা কম করা সম্ভব হয় আগামী আর্থিক বর্ষে এবং সরকারের রাজস্ব বাবদ আয় বৃদ্ধি ঘটে, সেটি নিশ্চিত করার জন্যই এখন নানাবিধ প্ল্যান করা হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসেবে এক ঢিলে দুই পাখি মারার এই প্রকল্প বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মাধ্যমে সরকার বিগত কয়েক বছরের বিপুল আর্থিক মুনাফা করেছে কৃষকদের থেকে প্রাপ্ত প্রিমিয়াম থেকে। বিগত বছরগুলিতে মোট ১ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম বাবদ আয় হয়েছে তাবৎ বিমা সংস্থার। বেসরকারী ও সরকারী উভয় ক্ষেত্রেই। আর বিমা সংস্থাগুলিকে কৃষকদের বিমার টাকা মেটাতে হয়েছে ১ লক্ষ ১৯ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ৪০ হাজার কোটি টাকার বিমান সংস্থাগুলির মুনাফা। যার মধ্যে সরকারী সংস্থা আছে। আবার বিমা সংস্থাগুলির থেকে করবাবদ লাভ করেছে সরকার। সেই ধাঁচেই এবার গরু সুরক্ষা বিমা হবে। মোদি সরকারের প্রধান বিমা প্রকল্পগুলি হলো, প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা, অটল পেনশন যোজনা, ন সুরক্ষা বিমা যোজনা। সাধারণত শস্য বিমা যোজনায় খরিফের জন্য ২ শতাংশ এবং রবি শস্যের জন্য দেড় শতাংশ প্রিমিয়াম বহন করতে হয় কৃষককে। এই প্রকল্পগুলিতে প্রিমিয়ামের কিয় দংশ বিমাকারী গ্রাহককে বহন করতে হয়। বাকি বিমাকৃত টাকার উপর প্রদেয় প্রিমিয়াম কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মেটায় । উল্লেখ্য, গত বছর প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা এবং সুরক্ষা বিমা যোজনার প্রিমিয়াম বৃদ্ধি করা হয়। তবে কৃষকদের উপর চাপ দেওয়া হয়নি। এবার নতুন করে গোধন সুরক্ষা বিমা চালু হলে সরকারের রাজস্ব আয় আবার ইতিবাচক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অক্টোবর মাস থেকে সরকারের রপ্তানি এবং আমদানি বাণিজ্যে বিপুল ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ রপ্তানি বিপজ্জনক এবং উদ্বেগজনকভাবে কমেছে। আর আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে আর্থিক ঘাটতিকে ৬.৪ শতাংশে আবদ্ধ করে রাখার মরিয়া প্রয়াস করছে অর্থমন্ত্রক। সেই কারণেই এখন নানাবিধ উপায়ে রাজস্ব সংগ্রহের পথ খুঁজছেন অর্থমন্ত্রক।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

পদত্যাগ কর্ণাটকের ক্রিকেট সংস্থার দুই কর্তার!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইপিএল জয়ের উৎসবের ভীড়ে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনার জেরে…

19 mins ago

জি-৭ সম্মেলনে যোগদান করতে মোদীকে আমন্ত্রণ দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ভারত ও কানাডার মধ্যে টানাপড়েনের সম্পর্কে কানাডা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জি ৭ সম্মেলনে…

14 hours ago

শুক্রবার বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু চেনাব চন্দ্রভাগা ব্রিজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে রেলসেতু ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।…

21 hours ago

হরিয়ানায় শপিংমলে গুলি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-হরিয়ানার পঞ্চকুলার একটি মলের সামনে অজ্ঞাত পরিচয়ধারী কয়েকজন দুষ্কৃতি পরপর কয়েক রাউন্ড চালায়…

21 hours ago

দঃজেলার ৫০%র বেশি গ্রাহকই বিদ্যুতের বিল জমা দেন নাঃ মন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা গ্রহণকারী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিল পেমেন্টের বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরলেন…

22 hours ago

বিমানে বিস্ফোরক বহন!

অনলাইন প্রতিনিধি :- সম্প্রতি দিল্লি, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর সারপ্রাইজ ভিজিট’ করেন ভারতের অসামরিক…

22 hours ago