আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়নে লন্ডনে মৌ স্বাক্ষর: প্রদ্যোত!!


অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের উপজাতি জনসমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ভারত সরকার। দেশের সরকারের নির্দেশিত পথে ত্রিপুরার এডিসি এলাকার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা রূপায়ণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। রাজ্যের উপজাতি জনসমাজের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, শিক্ষা, ইতিহাস বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা থেকে আমরা লন্ডনে এসেছি। রাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম জনজাতি সমাজকে ঘিরে লন্ডনে এই অনুষ্ঠান হয়েছে।এর জন্য ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে আমরা গর্বিত। লন্ডনের ব্রাউনিমাউথ ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া উইক’ অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।
তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী আলোড়িত করার জন্য এই উদ্যোগ হয়েছে।এর জন্য ভারত – সরকারেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তবে একটি অংশ গত সত্তর বছর ধরে চায় -না ত্রিপুরার উপজাতি জনসমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হোক।

এর জন্য এই অংশটি আমাদের ‘লন্ডনে’ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টি সহ্য করতে পারছে – না। তাই এরা সামাজিক মাধ্যমে কুৎসা রটাতে ব্যস্ত রয়েছে। তবে ভালো দিক -হলো দেশের মানুষ এসবে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ভারতবর্ষের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিশেষ করে ত্রিপুরার সংস্কৃতি, ভাষা, ঐক্য, সংহতি নিয়ে আমরা গর্বিত। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ লন্ডন থেকে যারা বিভিন্ন কাজে এবং ভ্রমণের জন্য ভারতবর্ষে যান তাদের একবার ত্রিপুরা সফরের জন্যও আহ্বান জানান। তিনি বলেন ভারত সরকারের উদ্যোগে ত্রিপুরার ‘পর্যটন’ ব্যবস্থা দেশে বিশেষ স্থান অধিকার করেছে। তাই সকলকে একবার ত্রিপুরায় আসার অবেদন জানান। পাশাপাশি লন্ডনের শিল্পপতিদেরও ত্রিপুরার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখার এবং একবার রাজ্যের সফরে আসার আহ্বান জানান তিনি। লন্ডন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার সংস্কৃতি, কৃষ্টি, শিক্ষা, স্পোর্টস এবং দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত আটাশ মে থেকে দোসরা জুন পর্যন্ত লন্ডন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে ‘ইন্ডিয়া উইক’ অনুষ্ঠান করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে দেশের অন্যান্য রাজ্যের সাথে ত্রিপুরা থেকে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের নেতৃত্বে অন্যরা যোগ দেন।