আলুর পাইকারি মূল্য কমলেও খুচরোতে চড়া মূল্যই, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা!!
অনলাইন প্রতিনিধি:-বাজারে পাইকারিতে আলুর মূল্য অনেকটা কমে গেলেও খুচরো বাজারে আলুর মূল্য কমেনি।
আগরতলার বাজারগুলিতে খুচরো ব্যবসায়ীরা আগের মতো আলুর চড়া মূল্য নিচ্ছেন। তাতে ক্রেতা সাধারণের যথেচ্ছভাবে পকেট কাটা হচ্ছে। মহারাজগঞ্জ বাজারে আলুর পাইকারি মূল্য প্রতি কিলোতে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫ দিন আগেও মহারাজগঞ্জ বাজারে আলুর পাইকারি মূল্য প্রতিকিলোতে ৩২ টাকা নেওয়া হয়েছিল। গত চার পাঁচ দিন ধরে ধীরে ধীরে পাইকারিতে আলুর মূল্য কমছিল। বৃহস্পতিবার পাইকারিতে আলুর মূল্য কমে দাঁড়ায় ২৫ টাকা কিলো। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারিতে আলুর মূল্য আরও কমে যাবে।বিস্ময়ের ব্যাপার হলো পাইকারিতে আলুর মূল্য কমলেও খুচরোতে আগের মতো অতিরিক্ত মূল্য ক্রেতাসাধারণের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে।বাজারগুলিতে কোন ব্যবসায়ী খুচরোতে আলু বিক্রি করেছেন প্রতিকিলো ৪০ টাকা, আবার কোন ব্যবসায়ী বিক্রি করছেন প্রতিকিলো ৪৫ টাকা।অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্রেতার কাছ থেকে আলুর অতিরিক্ত মূল্য নিলেও খাদ্য দপ্তর ও সদর মহকুমা প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ। সদর এনফোর্সমেন্ট টিম বাজারে অভিযানে গিয়ে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতেনাতে ধরলেও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন ও ক্রেতা সুরক্ষা আইন অনুযায়ী কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার সাহস পাচ্ছে বলে ক্রেতাসাধারণের অভিযোগ। সদর মহকুমাশাসক অসাধু ব্যবসায়ীদের শুধুমাত্র আর্থিক জরিমানা করছেন। অভিযোগ, অতিরিক্ত মূল্য নিয়ে ক্রেতাসাধারণের পকেট কাটলেও কোন কোন অসাধু ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানার পরিমাণও কম করা হচ্ছে।পাইকারিতে আলু’র মূল্য কমে যাওয়ায় খুচরোতে প্রতিকিলো ৩০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না বলে খাদ্য দপ্তর ও এনফোর্সমেন্ট টিম থেকে বারবার ব্যবসায়ীদের জানিয়েও দেওয়া হচ্ছে
এদিকে বৃহস্পতিবারও বটতলা বাজারে সদর এনফোর্সমেন্ট টিম আলু ও পেঁয়াজের মূল্য যাচাইয়ে বাজার অভিযান করেছে। আলুর অতিরিক্তি মূল্য নেওয়ার ঘটনা এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা ধরেও ফেলেন।অসাধু ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেন।শুধু তাই নয়, আলু,পেঁয়াজের মূল্য তালিকা না টাঙিয়ে বিক্রি করার চিত্রও এনফোর্সমেন্ট টিম দেখে আসে।সুজিত দে ও নারায়ণ সাহা আলু’র অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ায় এনফোর্সমেন্ট টিমের রিপোর্ট অনুযায়ী সদর মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
শুক্রবার সদর মহকুমা শাসক অফিসে দুই ব্যবসায়ীর নোটিশের শুনানির পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাজারে পেঁয়াজের মূল্য এখনো চড়া। এদিনের এনফোর্সমেন্ট টিমের বটতলা বাজার অভিযানে ছিলেন সদর মুখ্য খাদ্য পরিদর্শক শর্মিষ্ঠা দাস ও খাদ্য পরিদর্শক নিবেদিতা চৌধুরী। এদিকে বাজারে সবজির মূল্য অস্বাভাবিক নেওয়া হলেও সেই বিষয়ে প্রশাসন, এনফোর্সমেন্ট ও কৃষি দপ্তরের নির্বিকার ভূমিকা নিয়ে ক্রেতা সাধারণ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। সবজির মূল্য যাচাইয়ে ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের দপ্তরগুলি সবজির বাজারে পা দিচ্ছে না।তাতে মূল্য কেবল
বাড়ছে বলে অভিযোগ।