আলু চাষে আধুনিকতার ছোঁয়া | সহসা আসছে ‘অ্যাপিক্যাল রুট’
অনলাইন প্রতিনিধি :- আগামীতে আলুর বীজ থেকে আলু চাষ করা হচ্ছে না। রাজ্যের কুপিতে আধুনিক ভাবে আলু চাষ শুরু করতে চলছে রাজ্যের ভূমি দপ্তর। তার জন্য ইতিমধ্যে উন্নত মানের আলুর চারা তৈরির কাজ চলছে রাজ্যের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র নাগিছড়াতে। চলতি মরমে সারা রাজ্যের মধ্যে আধুনিক আলু চার যাত্রা করতে চলছে রাজ্যের কৃষি দপ্তর। রাজ্য কৃষি দপ্তরের একটি সূত্র থেকে জানা যায় যে, অ্যাপিক্যাল রুটেড প্রযুক্তির ব্যবহার করে উন্নত আলু চাষ করা হবে। চলতি মরশুমে তার পরীক্ষা মূলক চাষের সূচনা করবে রাজ্যের কৃষি দপ্তর। কি উক্ত প্রযুক্তি তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাজ্য কৃষি দপ্তরের জনৈক আধিকারিক দৈনিক সংবাদকে জানিয়েছেন যে, উষ্ণ চাষে চিরাচরিত প্রথা আলুর বীজ ব্যবহার হয় না। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে আলুর চারা তৈরি করা হয় একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায়। পরবর্তী সময়ে তা খুব সহজে ট্রেতে তুলে রাখা হয়। চারাগুলি প্রথম থেকে দুই থেকে তিনটি পাতা থাকে। পরে খুব সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে গিয়ে লাগানো হয়। আগের মতো কৃষকের অতিরিক্ত পরিশ্রম করে আলু চাষের জন্য জমি তৈরি করে আলুর বীজ লাগাতে হবে না। অ্যাপিক্যাল রুটেড বা এআরসি প্রযুক্তিতে ভালো ভাবে জমি তৈরি করে শুধু আলুর চারা লাগিয়ে ভালো ভাবে যত্ন করলে কৃষক অধিক ফসল উৎপাদন করতে পারবে বলে তিনি জানিয়েছে। সুত্রটির মতে নাগিছড়া কৃষি ফার্মে উক্ত চাষ চাষ উৎপাদনে বিশেষ সাফল্য লাভ করেছে। রাজ্যের কৃষিতে যে আধুনিক ছোঁয়া লাগতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশের উত্তর পূর্ব অঞ্চলের মধ্যে এই প্রথম উক্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করে তার চাষ হতে চলছে। অ্যাপিক্যাল রুটেড প্রযুক্তি ভিয়েতনাম, কেনিয়া, জাপান এবং ইউরোপীয় মহাদেশে বিশেষ ভাবে জনপ্রিয় হয়েছে বলে জানা যায়। আমাদের দেশে গুজরাট, অন্ধপ্রদেশ, ওড়িশা, পাঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্যে উক্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে ভালো আলু উৎপাদন হয়েছে বলে জানা যায়। রাজ্যের মধ্যে এই প্রথম আপিক্যাল রুটেড প্রযুক্তির মাধ্যমে আলু চাষ করা হবে এই মরশুমে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ জেলার কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর সুমিত সাহা দৈনিক সংবাদকে আনিয়েছেন যে, উষ্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে দক্ষিণ জেলাতে এবার মোট পাঁচ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হচ্ছে পরীক্ষা মূলকভাবে। যার মধ্যে বগাফাতে দুই হেক্টর, জোলাইবাড়িতে দুই হেক্টর এবং রাজনগরে এক হেক্টর জমিতে অ্যাপিক্যাল রুটেড প্রযুক্তিতে আলু চাষের সূচনা করা হবে বলে শ্রীসাহা মন্তব্য করেন। শুধু তা নয়, তিনি জানিয়েছেন যেহেতু পুরো বিষয়টি একেবারে নতুন পদ্ধতিতে আলু চাষ তাই একেবারে মাঠে নেমে স্থানীয় আলু চাষিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।