আস্তাবলে বর্ণময় বিশাল জমায়েত

 আস্তাবলে বর্ণময় বিশাল জমায়েত
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অভূতপূর্ব সুশৃঙ্খল সমাবেশ করলো তিপ্রা মথা । লোকসংখ্যা কিংবা শৃঙ্খলা ও কারিগরির ব্যাবহারে মথার ভোট সমাবেশ ত্রিপুরার উপজাতি সমাজের কোনও বর্ণময় উৎসবের মেজাজ এনে দিলো রাজধানী আগরতলায়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মথা সুপ্রিমো বললেন, দেশে আজ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে যখন আজাদি কা অমৃত মহোৎসব চলছে সেই দীর্ঘ সময়ে তিপ্রাসাদের কী মিলেছে?
পাহাড়ের অবস্থা বর্ণনায় প্রদ্যোত কিশোর বললেন, চাকরি নেই, জমির পাট্টা নেই। স্কুল থাকলেও শিক্ষক নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে, পরিষেবা নেই।

শনিবারের এই সমাবেশে আস্তাবল ময়দান থেকে মথা সুপ্রিমো ফের ঘোষণা দিলেন, অধিকার আদায়ের জন্য দরকার ‘থানসা’ (ঐক্যবদ্ধ থাকা)। বললেন, তিপ্রাসাদের একতা না থাকলে অধিকার আদায় কখনোই সম্ভব নয়। উল্টো বিভাজনের রাজনীতি চেপে বসবে। স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে আয়োজিত সমাবেশ থেকে মথা সুপ্রিমো বলেন, আঠারো বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঢালাও হারে চাকরি প্রদান করা সহ রেগায় ৩৪০ টাকা মজুরি, সপ্তম বেতন কমিশনের মতো বহু প্রতিশ্রুতি ছিলো। কিন্তু কি মিলেছে সরকার পরিবর্তনের পর ?

শাসকের ঘর ছেড়ে বৃষকেতু দেববর্মা, ধনঞ্জয় দেববর্মারা গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের দাবি সমর্থন জানিয়ে তিপ্ৰা মথায় শামিল হয়েছেন। তিনি বলেন, দল বদলেছে ঠিকই কিন্তু নেতা একই। জোট ইস্যুতে গোটা রাজ্যেই যখন তীব্র জল্পনা চলছে তখন এদিন তিনি আরও একবার স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন যে, কোনও অবস্থাতেই মাথা নত করতে চায় না তারা। শর্ত হিসাবে তিনি আগে তিপ্রাসাদের অধিকার আদায়ের কথা জানিয়ে রাখলেন । জনজাতিভিত্তিক রাজনৈতিক দল তথা মথা চেয়ারম্যান প্রদ্যোত কিশোর এদিন বলেন, পদের লোভ এবং টাকার লোভ দেখিয়ে অধিকার আদায় থেকে সরিয়ে আনা যাবে না তাদের।

তারা একদিকে যেমন ধর্ম নিয়ে কোনও রাজনীতি করে না তেমনি অর্থ এবং পদেও বিশ্বাসী নয়। এদিন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশেবলেন, অর্থের কাছে মাথানত করে যারা ধোঁকা দেবে, তিপ্রাসা তাদের ঘর থেকে বের করে লাঠিপেটা করবে। আরও জানিয়ে দিলেন, ধোঁকাবাজের দল এটি নয়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দল তার ক্ষমতা দেখাতেও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে সব অংশের তিপ্রাসাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবেদন রাখেন তিনি।
অন্যান্যদের মধ্যে মথা সভাপতি বিজয় কুমার রাঙ্খল, এডিসির ডেপুটি সিইএম অনিমেষ দেববর্মা, হংস ত্রিপুরা, স্বপ্না দেববর্মা, এমডিসি রোনাল দেববর্মাও বক্তব্য রাখেন।

IMG-20221113-WA0009

তিপ্রা মথার গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়াও।অভূতপূর্ব সুশৃঙ্খল সমাবেশ করলো তিপ্রা মথা । লোকসংখ্যা কিংবা শৃঙ্খলা ও কারিগরির ব্যাবহারে মথার ভোট সমাবেশ ত্রিপুরার উপজাতি সমাজের কোনও বর্ণময় উৎসবের মেজাজ এনে দিলো রাজধানী আগরতলায়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মথা সুপ্রিমো বললেন, দেশে আজ স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে যখন আজাদি কা অমৃত মহোৎসব চলছে সেই দীর্ঘ সময়ে তিপ্রাসাদের কী মিলেছে?

পাহাড়ের অবস্থা বর্ণনায় প্রদ্যোত কিশোর বললেন, চাকরি নেই, জমির পাট্টা নেই। স্কুল থাকলেও শিক্ষক নেই। স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে, পরিষেবা নেই। শনিবারের এই সমাবেশে আস্তাবল ময়দান থেকে মথা সুপ্রিমো ফের ঘোষণা দিলেন, অধিকার আদায়ের জন্য দরকার ‘থানসা’ (ঐক্যবদ্ধ থাকা)। বললেন, তিপ্রাসাদের একতা না থাকলে অধিকার আদায় কখনোই সম্ভব নয়। উল্টো বিভাজনের রাজনীতি চেপে বসবে।
স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে আয়োজিত সমাবেশ থেকে মথা সুপ্রিমো বলেন, আঠারো বিধানসভা নির্বাচনের আগে ঢালাও হারে চাকরি প্রদান করা সহ রেগায় ৩৪০ টাকা মজুরি, সপ্তম বেতন কমিশনের মতো বহু প্রতিশ্রুতি ছিলো।

কিন্তু কী মিলেছে সরকার পরিবর্তনের পর ? শাসকের ঘর ছেড়ে বৃষকেতু দেববর্মা, ধনঞ্জয় দেববর্মারা গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের দাবি সমর্থন জানিয়ে তিপ্ৰা মথায় শামিল হয়েছেন। তিনি বলেন, দল বদলেছে ঠিকই কিন্তু নেতা একই। জোট ইস্যুতে গোটা রাজ্যেই যখন তীব্র জল্পনা চলছে তখন এদিন তিনি আরও একবার স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন যে, কোনও অবস্থাতেই মাথা নত করতে চায় না তারা। শর্ত হিসাবে তিনি আগে তিপ্রাসাদের অধিকার আদায়ের কথা জানিয়ে রাখলেন । জনজাতিভিত্তিক রাজনৈতিক দল তথা মথা চেয়ারম্যান প্রদ্যোত কিশোর এদিন বলেন, পদের লোভ এবং টাকার লোভ দেখিয়ে অধিকার আদায় থেকে সরিয়ে আনা যাবে না তাদের।

তারা একদিকে যেমন ধর্ম নিয়ে কোনও রাজনীতি করে না তেমনি অর্থ এবং পদেও বিশ্বাসী নয়। এদিন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনিও এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিপ্রাসাদের জন্য মথা সুপ্রিমো যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তাকে সমর্থন জানিয়ে সব অংশের জনজাতিদেরই এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। নির্বাচনের আগে আয়োজিত এই সমাবেশে এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশাল সংখ্যক তিপ্রাসার (ভূমিপুত্র) উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সমাবেশ সেরে বাড়ি ফেরার পথে এদিন সন্ধ্যার পর বেশ কিছু স্থানে আক্রমণের ঘটনাও ঘটে। বড়মুড়া এলাকায় সমর্থকদের একটি বাস লক্ষ্য করে একটি আক্রমণের ঘটনা ঘটে।

রাতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে মথা । প্রসঙ্গত, আগরতলায় উপজাতিভিত্তিক কোনও সমাবেশের ঘোষণা সামনে এলেই আগরতলাবাসীর চোখেমুখে ২০১৬ সালের ২৩ আগষ্টের বিভীষিকা ভেসে উঠে। আইপিএফটির সমাবেশ ছিল সেদিন। নিমিষে হিংসাত্মক হয়ে উঠে শহর। রাজপথে খণ্ডযুদ্ধ – যেন অচেনা শহর, অচেনা মানুষ। মথার মিছিল ও সমাবেশ এদিন সেই বিভীষিকাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। আগরতলা এর আগে উপজাতি দলের কোনও ভোট সমাবেশ এতো বর্ণময় হতে দেখেনি।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.