মানুষকে বোকা বানিয়ে আয়ারাম গয়ারামের খেলা চলছেই।বিশেষ করে নির্বাচন এলেই আয়ারাম গয়ারামের খেলা বেশ জমে ওঠে।বেচারা
মানুষ হয়ে যায় তখন ‘গণদেবতা’।কী সম্বোধন। : ভোট ফুরোলেই নেতা মন্ত্রীদের টিকির নাগাল পাওয়া দুস্কর।আয়ারাম গয়ারামদের খেলার মাহাত্ম্য তো এখানেই। এবারের লোকসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে আয়ারাম গয়ারামের খেলায় মেতে উঠেছেন এক শ্রেণীর রাজনীতি।এরা জানেন বিভোেট মানেই একটা ব্যবসা। সে ব্যবসায় পুঁজি লাগে না। জনগণের ক মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া যায়।একবার যদি ক্ষমতার সিংহাসনে বসা যায় ভোট জিতে তাহলে তো একেবারে কেল্লাফতে।তাই আয়ারাম গয়ারামরা ওঁতপেতে বসে থাকে কখন ভোট আসবে বলে।এবার লোকসভা ভোটের মুখে এই আয়ারাম গয়ারাম ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে।এবার তাদের বাজার একটু বেশিই। এখন রাজনীতিতে একটা জিনিস বেজায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোন দল কাউকে টিকিট সবঞ্চিত করলেই দল পাল্টানোর মতো খেলায় মত্ত হয়ে ওঠে সিএকশ্রেণীর রাজনীতিক।এ বছর লোকসভা ভোটকে ঘিরে এই খেলা বেজায় বেশি।বলা যায় নজিরবিহীন।আজ বিজেপিতে কেউ শামিল হচ্ছেন তো কাল কংগ্রেসে কেউ শামিল হচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ বলা -যায় জনার্দন রেড্ডি।অন্ধ্রপ্রদেশের এই নেতার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ।এক সময় খনি মাফিয়া তকমা জুটেছিল তার।সিবিআই তার বিরুদ্ধে – বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করে।এককথায় দাগি। সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে শামিল হয়েছেন। কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রের আবাসন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী অশোক চ্যবনও বিজেপিতে সামিল হয়েছেন।তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ।হরিয়ানার শিল্পপতি তথা কংগ্রেস নেতা নবীন জিন্দ ও তার মা বিজেপিতে শামিল হয়েছেন কংগ্রেস ছেড়ে।ঝাড়খণ্ডের সোরেন পরিবারের বধূ নীতা সোরেন সম্প্রতি বিজেপিতে শামিল হয়েছেন।যথারীতি টিকিট পেয়ে গেছেন। পশ্চিমবঙ্গের গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপাকপুর কেউ থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন অর্জুন সিং। এরপর মাঝপথে তিনি তৃণমূলে শামিল হয়েছিলেন।
কিন্তু এরপর তৃণমূল তাকে টিকিট দেয়নি।ফলে ফের তিনি ছবিজেপিতে শামিল হয়েছেন।রাজস্থানের এক বিজেপি নেতা তথা – ৪ কোটার প্রাক্তন বিধায়ক প্রহ্লাদ গুঞ্জন সম্প্রতি কংগ্রেসে শামিল যে হয়েছেন। তেমনি এক সময়ে বিহারের বাহুবলী সাংসদ পাপ্পু যাদব দলবল নিয়ে বিজেপিতে শামিল হয়েছেন।
আর ‘ওয়ান অ্যান্ড ওনলি’ নীতীশ কুমারের তো এক্ষেত্রে জবাব নেই।এ নিয়ে নীতীশকুমার ৯ বার দল পাল্টেছেন।শিবির পাল্টেছেন। উতার মুখ্যমন্ত্রী পদ চাই।এই ঘন ঘন শিবির পাল্টালেও মুখ্যমন্ত্রী পদে অটুট থেকে তিনি গোটা দেশে, এমনকী গোটা বিশ্বে নজর কেড়েছেন এ এতে কোন সন্দেহ নেই। তাই রাজনীতির এই আয়ারাম গয়ারামদের খেলা চিরকালই চলতে থাকে।ভোট এলে বেশি বেশি করে এই খেলা চলে। এবার লোকসভা ভোটের মুখে এই খেলা যেন একটু বেশিই চলছে।ভোটাররা হচ্ছে গিনিপিগ।রাজনীতিবিদদের ইশারায় নাচা শুধু ভোটারদের কাজ।আজ এই দল তো কাল এই দল।যে ভোটাররা আজ তাকে ‘এক্স’ চিহ্নে ভোট দিয়ে জয়ী করলেন, কাল তিনি ‘ওয়াই’ দলে যোগ দিয়ে সেই ভোটারদের কি অপমান করলেন না?কিন্তু কী আর করা যাবে! অবাধ গণতন্ত্রের দেশ এই ভারতবর্ষ।এই দেশে সব সম্ভব। রাজনৈতিক নেতারা আখের গোছানোর জন্য সব পারে।তাই চিরদিন আয়ারাম গয়ারামদের এই আসা যাওয়ার এ সিলসিলা চলবেই।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…